আজ রবিবার (২রা মে), অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড গাংনী শাখা তরমুজের বাজারে পরিনত হয়েছে। সকাল হতেই সেখানে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা শতশত গ্রাহককে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষারত গ্রাহকের অনেকেই জানান সকাল ১১ হতে ২টা ৩০ মিনিট অবধি দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছেনা তাদের টাকা। সেখানে নেই কোন লাইন বা নিয়ম শৃঙ্খলা। যত্রযত্র ভাবে দাঁড়িয়ে আছে শতশত মানুষ। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের অব্যবস্থাপনার কারণে শতশত মানুষ পড়ছে করোনা ঝুঁকিতে। সকালে এসে দুপুর গড়িয়ে গেলেও গ্রাহকরা তাদের উত্তোলনকৃত টাকা পাচ্ছেনা এ বিলম্বের কারণ হিসেবে কতৃপক্ষ Network slow কে দায়ী করেন। লাইন ছাড়া তরমুজের বাজারের যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এখানেও এমন কেন? মাস্ক এবং হাত মুখ ধৌতকরণের ব্যবস্থা নেই কেন এমন প্রশ্নে এক কর্মকর্তা ক্ষেপে যেয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলতে থাকেন। আমি লোক খুব খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি।
যায় হোক, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক তাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ব্যাংক সহ প্রতিটি ব্যাংকেই গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইনে প্রতিটা মানুষের মাঝে নির্দিষ্ট একটা দুরত্ব বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। তাছাড়া মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা জরুরি। নতুবা অচিরেই শুধু গাংনী উপজেলা শহর নয় মেহেরপুর জেলার প্রতিটি গ্রাম গন্জের মানুষের মাঝে করোনা নামের ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করতে পারে। সুতরাং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
এব্যাপারে পৌর মেয়র ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।