বহুল আলোচিত চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার গাছ চুরির মামলার আসামি হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবিএম একরাম উদ্দিন ও তার ছেলে মাহফুজার রহমান। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান। মামলা নং-০২, তারিখঃ১২/০৩/২০২২ইং।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, চিলমারী সিনিয়ির আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাদ্রাসার মুলভবন নিলাম ছাড়াই ভবনের ৩৩০টি টিন, ৬৫টি মটকা ৯৫৭ কেজি লোহার এঙ্গেল ৪৩২ কেজি লোহার রড, লোহার এঙ্গেল ও প্লেনসিড দিয়ে তৈরী ৮টি দরজা এবং ২৪টি জানালা, ৪৫ হাজার ইটসহ মোট সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্নসাত করেছেন।
শুধু তাই নয় মাদ্রাসার ১ লক্ষ টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রজাতির নয়টি গাছ চুরি করে বিক্রি করেন। অধ্যক্ষ একরাম উদ্দিন ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকেই মাদ্রাসাটিকে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে ক্ষমতার বলে তার ছেলে মাহফুজার রহমানকে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেন।
প্রতিষ্ঠানে বাবা ছেলে মিলে করে অনিয়মের কাজ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সকল জিনিসপত্র নিজের মত করে পরিচালিত করে আসে, মন যখন যা যায় কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি যা খুশি তাই করেন। দিনে দিনে তার এমন অনিয়ম, দূনর্ীতি বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
কৌশলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমানকে সভাপতি থেকে বাদ দিয়ে আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি করেন। তাকে নাম মাত্র সভাপতি করে তিনি এমন অপকর্মগুলো চালাত। এদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক চুরি করে বিক্রি করা গাছগুলো উপজেলা সদরের থানাহাটের জনৈক ব্যক্তির ছ’মিলে থাকলেও আজ অবধি পুলিশ উদ্ধার করেনি মর্মে জানা গেছে।
তাছাড়াও আসামী হয়েও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধ্যক্ষ এবি এম একরাম উদ্দিন। তিনি চাকুরী থেকে অবসরে গেলেও নিজের প্রভাব ঠিক রাখতে এখনও মাদ্রাসার মাসিক বিল সিটে স্বাক্ষর করেন।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক, গভর্নিং কমিটির সদস্যসহ এলাকাবাসী এই দুর্নীতির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার দাবীসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একরাম উদ্দিন বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।