ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় রবিউল ইসলাম (৫০) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে (১এপ্রিল) নিহতের বাবা মিনাজ উদ্দীন বাদী হয়ে পলাশকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নামে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে হুসাইন, বিরামপুর গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে রানা ও হরিণাকুণ্ডু মাদ্রাসা পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নাইম।
গত শুক্রবার (৩১মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদের সামনে কুপিয়ে রবিউলকে জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রবিউল ইসলাম হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনাজ উদ্দীনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিউল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই একই গ্রামের প্রতিপক্ষরা রবিউল ইসলামের উপর হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে রবিউলের পিঠে ও মাথায় উপর্যুপরি কোঁপাতে থাকে। এতে তার মাথা ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক যখম হয়।
এ ঘটনার পর নিহতের স্বজনরা জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম টুলুর বাড়িতে ও আক্কাস আলী এবং আনোয়ার হোসেনের বিচালি গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এরই জেরে হামলাকারীরা নিহতের ভাগ্নে রনি (২২)কে কুপিয়ে আহত করে।
এদিকে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান জানান, কুপিয়ে রবিউল ইসলামকে খুনের ঘটনায় উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে পলাশকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা মিনাজ উদ্দীন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
তবে সংঘর্ষ এড়াতে জোড়াপুকুরিয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ পরিদর্শক।