চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন ৩৮নং ওয়ার্ড ইপিজেড মোড় থেকে কমিশনার গল্লি পর্যন্ত রাস্তার পাশে দখল করে করছেন চাঁদাবাজি এবং ইপিজেড এলাকার টিআই নাম ব্যবহার করে চাঁদা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে মোঃ হাসান বিরুদ্ধে। চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে এলাকার পথচারীর অভিযোগ করে গণমাধ্যমেকে বলেন, চলাচলের রাস্তাটি সিন্ডিকেট নেতাদের কাছে জিম্মি গার্মেন্টসকর্মীদের চলাচলের,রাস্তার উপরে এসব দোকান গড়ে উঠেছে,তা চলছে ইপিজেডের টিআই এর নাম ব্যবহার করে,হাসান এই দোকানগুলো থেকে মোটা অংকের চাঁদা উত্তোলন করে আসছে।
তিনি আর ও বলেন দোকান গুলোর কারনে গার্মেন্টসকর্মীরা ঠিক মত এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না,সকালে বিকেলে দুই বেলাই চলাচলের রাস্তায় দোকান গুলোর কারনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ গার্মেন্টসকর্মীরা,বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিদের হাতে গার্মেন্টসকর্মীরা হেনেস্তা ও মোবাইল ছিনতাই সহ নানা রকম হয়রানির শিকারে পরতে হচ্ছে।গার্মেন্টস কর্মীদের চলাচলের রাস্তাটি সিন্ডিকেটের নেতাদের কাছে জিম্মি। ইপিজেডের টি আই এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন না,তার মানে বোঝা যায় টি আই এদের সাথে জড়িত রয়েছেন।
এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আবার ও পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কয়েকজন দোকানের কাছে জানতে চাইলে দোকান মালিকরা বলেন, হাসানকে আমরা প্রতিদিন চাঁদার টাকা দিতে হয,চাঁদার টাকা যদি হাসানকে না দেই তাহলে আমাদেরকে দোকানদারি করতে দিবে না হাসান, চাঁদা গুলো টিআই কামরুল ইসলাম রাজ এর নামে তোলা হয়। বিশেষ করে এখানে মাসোহারা প্রায় ২০টি দোকান আছে এক একটি দোকান থেকে সাড়ে তিন হাজার,চার হাজার ও সাড়ে তিন হাজার আড়াই হাজার ও সাড়ে চার হাজার করে টাকা উত্তোলন করছেন হাসান।
হাসানের ব্যাপারে কেউ কোন কথা বলতে পারে না,কেউ যদি কোন কথা বলে তাহলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করেন, হাসানদের,ভয়ে কেউ কখনো মুখ খুলতে রাজি হয় না। চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে হাসানের কাছে জানতে চাইলে,হাসান গণমাধ্যমকর্মীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,আপনারা ভালো করে লিখুন জাতে কোন একটা লেখা বাদ না যায়,আইনের(ল) অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নিবে আইন তাতে আমার কোন কিছুই আসে যায় না,আমি কাউকে ভয় পাই না,আমি টি আই এর নামে টাকা উত্তোলন করছি তাতে কি হয়েছে বলে শাসিয়ে যায় গণমাধ্যমকে।যাহার অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।
চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে জহির মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন এই টাকাগুলো হাসান টিআই এর কথা বলে তুলছেন,টাকাগুলো উত্তোলন করে হাসান,আমরা এই টাকাগুলো প্রতিনিয়ত হাসানকে দিয়ে আসতেছি যদিও কোন সময় কোন ধরনের ভুলভ্রান্তি সৃষ্টি হয় তাহলে হাসান আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেন। তিনি আর ও বলেন আমাদের কাছে থেকে হাসান যে চাঁদার টাকার নেন তার লিষ্টটা আপনাদেরকে দিয়েছি,এই লিষ্টে কে কত টাকা দিতাছে পুরা লিস্টে উল্লেখিত রয়েছে।এই লিষ্টের ভিতরে টোটাল মাসে ৫১,০০০ (একান্না হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করছেন হাসান,সেই টাকাগুলো হাসানকে বুঝিয়ে দিতে হয়। ইপিজেডের টি আই এব্যাপারে কিছুই জানে না, টিআই কোন চাঁদার টাকা ধরে না বা খায় না,টি আই যতষ্ট ভালো লোক বলে মনে করছি আমরা। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করার পরে গণমাধ্যমেকর্মীর হাতে চলে আসে চাঁদার একটি লিষ্ট, সেই লিষ্টে দেখা যায় কোন দোকান থেকে হাসানকে মাসে কত টাকা দিবে।
এবার বিবারণ করছেন গণমাধ্যমেকর্মীরা, বেলাল শরবত দোকান,৪০০০ হাজার টাকা মোঃ আসিক হিজাব,৪০০০ হাজার,মোঃনাছির হেডফোনের দোকান,৭৫০০ হাজার পাঁচশত টাকা,৪০০০ হাজার রাজু হেডফোনের দোকান,৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচ শত টাকা, জাবেদ,স্টিকার এর দোকান,৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচ শত টাকা, জহির,কভার এর দোকান,৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচ শত টাকা, মিলন,শার্ট এর দোকান,৪০০০ চার হাজার টাকা,জামাল,ফলের দোকান,৩০০০ তিন হাজার টাকা,মাইনুদ্দিন,চুড়ির দোকান,৩০০০ তিন হাজার টাকা, গেন্ডীর দোকান,৩০০০ তিন হাজার টাকা,নজরুল, ফলের দোকান,৩০০০ তিন হাজার টাকা,সাহাবুদ্দিন,৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচ শত টাকা,রাসেল,লোডের দোকান,১০০০ এক হাজার টাকা, ২০০০ দুই হাজার টাকা, জুতার দোকান বক্সের পাশে, অর্পন মিক্স দোকান,১০০০ এক হাজার টাকা, ডিমের দোকান,১৫০০ এক হাজার পাঁচ শত টাকা।সর্বমোটঃ ৫১,০০০ (একান্না হাজার টাকা) হাসানের ফলের দুই দোকান সহ আর ও একটি গেন্জীর দোকান বাদ দেওয়া,এছাড়া ও সকালে একটি নাস্তার দোকান খোলা থেকে ও টাকা নেওয়া হচ্ছে।
ইপিজেডের চাঁদাবাজির বিষয়ে বন্দর ট্রাফিক বিভাগের ডিসি তারেক এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,এগুলো আমি জানি এগুলো বলে লাভ নেই,এই রাস্তার কাজটি আমাদের না,এটা থানার কাজ আপনি থানার সাথে কথা বলুন,এটা থানার ফাংশন,এটা আমাদের কোন ফাংশন না। এটা করতেই পারে আমি তো মাত্র নতুন আসছি। এটা ট্রাফিক পুলিশের কাজ না এটা হচ্ছে ফাও কথা। আপনি এ ব্যাপারে আর ও একটু ইনফরমেশন নেন এটা হচ্ছে থানার কাজ, আপনি বিষয়টা আর ও একটু ভালো করে তদন্ত করে দেখেন আসলে এদের সাথে কারা কারা জড়িত আছে,তবে আমাদের কেউ যদি জড়িত থেকে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব,বলে জানান বন্দর ট্রাফিক বিভাগের ডিসি তারেক। হাসানের চাঁদাবাজি বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি মাত্র তিনদিন হয়েছে জয়েন্ট করেছি, আপনি ডকুমেন্ট গুলো আমার কাছে পাঠান, আমি দেখব বলে জানান বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ।