উলিপুরে শিশু মাইশা ‘হত্যার’ দাবিতে মানববন্ধন

নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৪৯ বার পঠিত

 

কুড়িগ্রাম সদরের ভেলাকোপা এলাকার শিশু মারুফা জাহান মাইশার আঙুল রেখে পেটে অস্ত্রোপচার করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিকরা।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার উলিপুর উপজেলার মসজিদুল হুদা মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। এতে ফেন্ডস ফেয়ার, সামাজিক সংগঠন ‘নারী’, সাতরঙ সামাজিক সংগঠন ও আরও কয়েকটি সংগঠনসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম, নারী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমীন, মাসুম করিম, মতলেবুর রহমান মঞ্জু, মাহফুজুর রহমানসহ অনেকে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শিশু মাইশাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে চিকিৎসকরা। অনিবন্ধিত হাসপাতালে তাকে নিয়ে আঙুলের অপারেশন করার নামে হত্যা করেছে তারা। এ সময় ঢাকার রূপনগর থানায় মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগও তোলেন বক্তারা। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনকারী।

কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছয় বছরের মেয়ে মাইশার ডান হাতের আঙুল সার্জারি করতে গেলে ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়দানকারী ডা. মো. আহসান হাবীব ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সার্জারি করতে ৩০ নভেম্বর সকালে মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশনের এক পর্যায়ে মারা যায় মাইশা।

পরে তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলে মিরপুর-১ নম্বরের গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় মাইশার মৃত্যুর খবর। কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই ডা. আহসান হাবিব ও ক্লিনিকের লোকজন অ্যাম্বুলেন্স ডেকে জোর করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে লাশের গোসল করানোর সময় দেখা যায় শিশুটির তলপেট অপারেশন করা। সেখানে ২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। রাতে সদর থানা পুলিশকে জানিয়ে শিশুটিকে বাড়ির আঙিনায় দাফন করে স্বজনরা।

এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর (রোববার) সংশ্লিষ্ট আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার রূপনগর থানায় অভিযোগ করেছেন শিশু মাইশার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন। কিন্তু থানার ওসি মামলা নেননি। অভিযোগ পরিবর্তনের জন্য অভিযোগকারীকে জোর করা হয় বলেও জানান তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর