কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে মামলার আসামীদের অত্যাচারে ৫ মাস বাড়ী ছাড়া অন্যত্র মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে নারী ইউপি সদস্য রিনা খাতুন রাবেয়ার পরিবার। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে এবং বাড়ী ফেরার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রিনা খাতুন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজের চরম অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন রিনা খাতুন। তিনি বলেন, গত ২৫ মে নির্বাচন নিয়ে শুরু হওয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ ইমদাদুল গংরা তার বাড়ীতে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা রিনার বাড়ীঘর কুপিয়ে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় রিনা বাদী খোকসা থানায় মামলা দিলেও পুলিশ তা নেয়না। পরবর্তিতে কুষ্টিয়া আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা আমলে নিয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। মামলার পর থেকে দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালাতে থাকে আসামীরা। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভয়ে বাড়ী ছেড়ে তারা ৫ মাস ধরে রাজবাড়ীতে থাকছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রিনার স্বামী স্কুল শিক্ষক নাজমুল বলেন, তার বাড়ীর দরজা খুলে দরজাসহ সবকিছু নিয়ে গেছে আসামীরা। সেসব ফেরত ও আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। নাজমুলের মামা আব্দুর রহিম শেখ বলেন, রিনা ও নাজমুল সন্তানদের নিয়ে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। তাদেরকে নিজের বাড়ীতে ফিরে যাবার ব্যবস্থা চান তিনি।
এসব বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রিনার স্বামী নাজমুল হিংস্র ভাবে স্থানীয় একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশংকাজনক। সেই মামলায় নাজমুল আসামী। গ্রেফতার এড়াতে সে বাড়ী ছেড়ে পলাতক রয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ীর বাইরে থাকেন কিনা জানিনা।