কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদস্য মামুন অর রশিদ মামুনের (ওরফে টাইগার মামুন) উপর গত রবিবার আনুমানিক রাত ১২টার সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ঘটেছে। এসময় মামুনের ছোট ভাইও আহত হয়। মামুনের ব্যাক্তিগত প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা আর তিন রাউন্ড গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
আহত মামুনের ছোট ভাই এনামুল জানান, আমরা ভাদালিয়া বাজার থেকে রাত্রে বাড়ি ফেরার পথে দরবেশপুর কালভার্টের পাশে পৌঁছালে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা গুলিও চালায়। এনামুল আরও জানায়, দরবেশপুর গ্রামের মৃত আরজান আলীর ছেলে বক্কর (৫০),সামসুল (৪৮), বক্করের ছেলে রনি (২৮), কামরুলের ছেলে শান্ত (২৩), স্বস্তিপুর গ্রামের দবির সরদারের ছেলে বপ্পি (৩৬) সহ ১৫/২০ জন সেখানে উপস্থিত ছিল।
এনামুল আরো জানান, আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই সন্ত্রাসী হামলা চালায় তারা। রনি আমার ভাইকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। রনির বাবা বক্কর আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনামুলের মাথায় পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মামুন অর রশিদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের আলী রেজার ছেলে।বক্করের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন বাড়ি শুয়ে আছি। এবিষয়ে কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শওকত কবির জানান, ভাদালিয়া এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে ফাঁকা গুলির গুলিবর্ষণের কোনো খবর তাঁর জানা নেই। তিনি আরও জানান তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেওয়া হবে।