কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা টুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিল গাথুয়া গ্রামের একাধিক মাদক মামলার আসামি টুয়েল দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় বীরদর্পে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, টুয়েল বিজিপির সোর্স পরিচয়ের অন্তরালে সকল প্রকার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও এ তথ্য পাওয়া গেছে যে, টুয়েল বিজিপির একজন সোর্স হিসাবে কাজ করে। উক্ত সোর্স হওয়ার সুবাদে তিনি তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা সহ সকল ধরনের মাদক প্রাগপুর বর্ডার এলাকা থেকে রাতের আধারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাইকারি দরে মাদক পাচার করে যাচ্ছেন। যা প্রশাসনের সকল দপ্তরই মাদক সম্রাট টুয়েল সম্পর্কে জানেন কিন্তু তাকে কেউই গ্রেফতার করেনা। এলাকাবাসীর তথ্য মতে আরো জানা যায়, মাদক সম্রাট টুয়েল এলাকার নিরীহ মানুষদেরকে প্রায়ই মাদক দিয়ে প্রশাসনের হাতে ধরিয়ে দেন।
গত ১০/১৫ দিন আগে বিলগাথুয়া গ্রামের রবির বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল উদ্ধার করে প্রশাসন। অথচ রবির বিরুদ্ধে মামলা না হয়ে নিরপরাধ ৬ জন ব্যক্তির নামে মামলা দেওয়া হলো। অথচ উক্ত ছয় জনের বাড়ি ওখান থেকে অনেক দূরে। এলাকাবাসী প্রতিবেদককে এটাও বলেন, রবির বাড়ি থেকে যে মাদক উদ্ধার করেছিল, উক্ত মাদকের মালিক ছিল টুয়েল নিজেই।
এভাবেই মাদক সিন্ডিকেটের গডফাদার টুয়েল বিজিপির সোর্স সেজে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বীরদর্পে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী এটাও বলেন, টুয়েলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ আমরা কোথাও করতে পারিনা। কারণ প্রতিবাদ করলেই আমাদের উপর নেমে আসে হায়েনার থাবা, একটির পর একটি মামলা দিয়ে চালান দেয় সে।
সে এতই ক্ষমতাধর ব্যক্তি যে তার ভয়ে কেউই মুখ খুলতে চান না। তারা এটাও বলেন প্রাগপুর এলাকার বিজিপি ক্যাম্পের সামনে দিয়েই রাতের আঁধারে অবাধে সকল প্রকার মাদকের চালান বিভিন্ন জেলাতে চলে যাচ্ছে অথচ প্রশাসন চোখে দেখেও না দেখার ভান করছে। উক্ত এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবেদককের মাধ্যমে রাষ্ট্র যন্ত্রের কাছে জানাতে চান যে, এই সকল অবৈধ মাদকদ্রব্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে কিভাবে আসছে সেটা আমরা সকলে জানি।
কিন্তু যদি এই দেশের সমস্ত বর্ডার এলাকার বিজিপির সদস্যদের মাধ্যমে একযোগে যদি সিলগালা করে দেন তাহলে বাংলাদেশ থেকে মাদক নির্মূল হবে, নতুবা কখনোই তা নির্মূল হবে না। মাদক আমদানি বন্ধ না হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টুয়েলের মত শত শত মাদক গডফাদারদের তৈরি হবে।
সেই সাথে দেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বে অন্যদিকে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে। আমরা অতি দ্রুত এই মাদক সম্রাট টুয়েলের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, তাকে জরুরী ভিত্তিতে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হোক।