সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরের রূপকার ও আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লীর জনক, সমাজসেবক ও সমাজ সংস্কারক, শিক্ষারুরাগী, বাংলাদেশের শিল্পায়ন খাতের একজন পেশাদারী উদ্যমী শিল্পপতি, একজন সফল আয়কর উপদেষ্টা ও কুষ্টিয়ার সমাজসেবক ও আলোকিত মানুষ দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ স্বরিবারে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে পদ্মা সেতু হয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট ষ্টেশনে দুপুর ১২টার সময় নামেন। তার আগমন উপলক্ষে কোর্ট ষ্টেশনে উপচে পড়া মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তিনি ঢাকাতে থাকলে তার মন পড়ে থাকে গ্রামের মানুষের মনের গহীরে। যে কারনে তিনি প্রতি সপ্তাহে কখনো গাড়ী কখনো হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়ীতে আসেন। ইদানিং তিনি হেলিকপ্টারেই আসা যাওয়া করতেন। এবার তিনি ট্রেন যোগে বাড়ীতে আসলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসলকে সম্মান জানাতেই সাধারন যাত্রী বেশে সুন্দরবন এক্সপ্রেস যোগে কুষ্টিয়াতে আসলেন। ১ লা নভেম্বর দিবাগত রাত্রে প্রথম কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরই মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া পুরণ হয়।
আলাউদিন আহমেদ কোন সাধারন মানুষ নয় তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তার ট্রেন ভ্রমনের নেশা ছোট বেলা থেকেই কারন, তিনি যখন কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে পড়াশোনা করতেন তখনকার সময়ে চড়াইকোল স্টেশনে ইষ্ট বেঙ্গল মেইল ট্রেন থামতোনা। ঐ সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লেখালেখি করার পর চিটাগাং রেলওয়ে বোর্ডে (সি.আর.পি) গিয়ে ইষ্ট বেঙ্গল মেইল ট্রেন চড়াইকোল স্টেশনে থামানোর ব্যবস্থা করেছিল। তখন থেকেই যৌবনদীপ্ত আলাউদ্দিনের তার সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ইতিমধ্যে তার শিক্ষাপল্লীতে তৈরী করেছেন দৃষ্টি নন্দিত আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাপল্লী পার্ক যার সম্মূর্ণটাই শিক্ষনীয় ও বিনোদন জগতের জলন্ত প্রমান। পার্কের মধ্যে সমাজসেবামূলক তথ্য উপাত্ত দিয়ে মেড়ানো আছে। পার্কের দক্ষিন পাশের্^ নির্মান করেছেন দৃষ্টি নন্দিত চোখ ধাঁধানো বিলাশবহুল রাজবাড়ী। তার পিতা মাতার স্মরনে বাড়ীটির নাম রেখেছেন প্যরেন্টস লজ। বাড়ীটি উদ্ভোধন করেন সৌদি প্রবাসী মদিনা ইউনিভার্সিটির অধ্যক্ষ বিশ^ বরেণ্য আলেমে দ্বীন শায়েখ ড. আদনান আল খাতিরী (দা: বা:)। কুষ্টিয়ার এই মহামানব সন্তান আজকের কর্মবীর তাঁর মুঠো-মুঠো অসীম দানে স্যাঁত স্যাঁতে পল্লী গাঁ এখন সোনালী রৌদ্রে আলোকিত করে তৈরী করে যাচ্ছেন একটি পর্যটন নগরী।
তিনি একজন অতি ভদ্র, নম্র, মার্জিত, বিনয়ী ও সফলতায় মোড়ানো জনপ্রিয় একজন সমাজসেবক। মহাসাগরের মত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, যাঁর কোন তুলনা হয়না। এই সমাজকল্যাণ সারথীর কর্মময় জীবনী ও তাঁর বিভিন্ন সমাজকর্মের সফলতা লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। ইতিমধ্যেই এ জেলার মাটি ও মানুষের অতি আপনজন আমাদের অহংকার শিক্ষাপল্লীর জনক, বিশিষ্ঠ সমাজসেবক দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদের সার্বিক কর্মকান্ড ও সফলতা নিয়ে দেশের খ্যাতিমান লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক তাঁদের কাব্যগ্রন্থ, বই, পত্র-পত্রিকায় লিখেছে অনেক। এখনো তাকে নিয়ে লিখেই যাচ্ছেন সাংবাদিকরা। তাকে ঘিরে লেখালেখি পড়ে শেষ করা যাবে না।