কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকার এমএইচএস ইন্ডাস্ট্রিজে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জেল ও জরিমানা আরোপ করে। রবিবার ১৮ এপ্রিল দুপুরে কুষ্টিয়া -১২, র্যাব সিপিসি-১ ও জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোঃ সবুজ হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মাহফুজুর রহমান সহ র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর সদস্য ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর। র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মাহফুজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিশংকরপুর এমএইচএস ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিটারজেন্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবৈধ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হচ্ছিল। সেখানে ওইসব পণ্য প্রস্তুতির সক্ষমতা না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একজনকে ১৫ দিন জেল এবং অপর আরেকজনের এক লক্ষ টাকা জরিমানা (অনাদায়ী ১ মাসের বিনাশ্রম জেল) করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোঃ সবুজ হাসান জানান, এমএইচএস ইন্ডাস্ট্রিজ মালিক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ এবং ৫৩ ধারা ভঙ্গ করেছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে ডিটারজেন্ট, টাইলস ক্লিনার, গুড়া মশলা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর করতে যে ধরনের সরঞ্জামাদি লাগে সেগুলো নেই, ল্যাব লাগে, দক্ষ কেমিস্ট লাগে যার কোনটাই সেখানে নেই। এগুলো ছাড়াই নিজেরাই এই পণ্যগুলো তৈরি করে আসছিল যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পাশাপাশি এই পণ্য গুলো থেকে সরকার কোন রাজস্ব পায়না। এদের কোম্পানিটাই সম্পূর্ণ অবৈধ।
এই কারণে ভ্রাম্যমান আদালত উক্ত প্রতিষ্ঠানের এক জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর একজনকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজা প্রাপ্ত হলেন, শহরের হরিশংকরপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত মকসেদ আলীর ছেলে হাসান (৪০)। তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরজন উত্তর লাহিনিপাড়া এলাকার লাল মোহাম্মদ এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৯) কে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করেন (অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড) প্রদান করেন।