কুষ্টিয়ায় আবারও সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পেশাদ্বার দায়িত্ব পালনের সময় হামলার শিকার সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের দিগন্ত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য। এ ঘটনায় হামলা কারিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকাল তিন ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড়ে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) এর ম্যানেজার বিল্লাল হোসেন সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজকে বেধরক মারপিট করে এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজের ভাবি মিতানুর রহমান বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজহার দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজের ভাই জুবায়ের আল নাফিজ ও ভাবি মিতানুর রহমান ঋণ নেয়ার জন্য আরআরএফ ফাউন্ডেশনে যায়। গত ১০ দিন আগে ঋণ গ্রহনের আবেদন করেন এবং ম্যানেজার ৪৯০০ টাকা অগ্রিম নেয়। আজ নয় কাল বলে ঘুরাতে থাকলে ঘটনার দিন জুবায়ের আল নাফিজ ও মিতানুর আরআরএফ কার্যালয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার বিল্লাল অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। একপর্যায়ে মিতানুরকে মারপিট করে বিল্লাল হোসেন। বিষয়টি জানার পর সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ তার ক্যামেরাম্যানকে সাথে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌছায়। মিতানুরকে মারপিটের কারন এবং ঋণ প্রদানের জটিলতার কারন জিজ্ঞাসা করা মাত্রই ম্যানেজার বিল্লাল ক্ষিপ্ত হয়ে নাব্বির আল নাফিজকে মারধর শুরু করে। পরে একটি পাশের রুমে নিয়ে বেধরক মারপিট ও শারিরিক নির্যাতন করা হয়।
এসময় ক্যামেরা ভেঙে ফেলে এবং পরবর্তিতে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয় বিল্লাল। এ বিষয়ে সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ জানান, আমি হামলার খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আরআরএফ এর ম্যানেজার আমার উপর চড়াও হয়। আমার ক্যামেরার উপর বাড়ি দিয়ে আমাকে টানা হেচড়া করে অফিসের ভিতরে নিয়ে দরজা আটকিয়ে আমাকে বেধরক মারপিট করে। যার সিসিটিভি ফুটেজ প্রমান রয়েছে। পাশ^বর্তী দারুস সেফা ক্লিনিকের সিসিটিভি ক্যামেরায় তা ধারন হয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতা পথে বিল্লালের মত মানুষ আজ বড় বাধা। তাকে শাস্তির আওতায় আনা না হলে পরবর্তিতে তিনি সাংবাদিকদের জন্য মূর্তমান আতংক হয়ে উঠবে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।