কুষ্টিয়ায় তিন দিনে ছয়টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রক্তাক্ত জনপদ খ্যাত দৌলতপুর উপজেলায় হয়েছে পাঁচটি লোম হর্ষক হত্যাকান্ড। একের পর এক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। অবশেষে ২মে কুষ্টিয়া দৌলতপুর পূর্ব ফিলিপনগর গোলাবাড়িয়া নদীর কিনারে বালুচরে বালিচাপা দেয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো: মারুফ হোসেন(৩৫)। সে দৌলতপুর মন্ডলপাড়ার মো: আশালত হাজীর ছেলে। নিহত মারুফের মামা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য নিখোজের ৮ দিন পর মারুফ হোসেনের গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। একই দিন পূর্ব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাকির মোল্লা (৪০) নামের একজন কৃষক নিহত হয়েছে। ২ মে মঙ্গলবার সকালের দিকে উপজেলার হোগলবাড়ি ইউনিয়নের কল্যাণপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত জাকির মোল্লা হোগলবাড়ি ইউনিয়নের কল্যাণপুর এলাকার আরব মন্ডলের ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির মোল্লা পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার আবু মন্ডলের লোকদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। নেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে জাকিরের সঙ্গে আবুর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন। গত ১ মে কুষ্টিয়া ইবি থানার শান্তি ডাঙ্গা গ্রামে ছোট ভাই শহিদুল শিল পাথর দিয়ে আঘাত করে বড় ভাই রাশিদুলকে(৩০) হত্যা করেছে। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ছোট ভাইয়ের পানির মটর চুরি হওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাইয়ের শিল পাথরের আঘাতে বড় ভাই ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত রশিদুল ইবি থানাধীন শান্তিভাঙ্গা গ্রামের খবির মন্ডলের ছেলে। গত ২৭ এপ্রিল দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে এলাকার আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে স্মরণকালের ভয়াবহ সংঘর্ষ, হামলা পাল্টা হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে আকতার মন্ডল (৪০) চিলমারী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে এবং দিমু মন্ডল (৬৫) একই গ্রামের দবির মন্ডলের ছেলে নিহত হয়।