শর্ষের মধ্যে ভূত একটি প্রবাদ বাক্য হলেও এমনটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের ক্ষেত্রে । কুষ্টিয়া শহর ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অনিক কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে একেরপর এক ষড়যন্ত্র রচনা করে চলেছেন ।
এই ছাত্রনেতা ছাত্রদলের পদ পদবী ব্যবহার করে ছাত্র রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তীতে তারা আওয়ামী লীগের আদর্শের নিজেদেরকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন । তাতে সফল না হয়ে আবারো ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসেন । উপরের ছবিটি লক্ষ্য করলেই সেই বিষয়ে স্পষ্ঠ বোঝা যায় ।
সেই সময় এই ছবি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং দলীয় সমালোচনার মুখে পড়েন এই দুই ছাত্র নেতা । যদিও এই বিষয়ে তাদের নিকট থেকে এখন পর্যন্ত এই ঘটনার কোন সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নাই ।
এদিকে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার কথা প্রকাশ্যে আসতেই আশরাফুল ইসলাম অনিক ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে পদ পেতে বিভিন্ন লবিং শুরু করেন । তারা দুজনেই জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতা এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের কাছে ধর্ণা দিতে থাকেন ।
কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এইবারের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে ২০১০ পর যারা এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন তাদেরকে নিয়ে । সেই কারণেই অনিক জেলা ছাত্রদলের কোন পদে আসতে পারেন নাই বলে ছাত্র দলের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
গত ১৭ নভেম্বর বুধবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় ।
কিন্তু চোরে শোনে না ধর্মের কথা । কমিটি ঘোষণার পর থেকেই, বর্তমানে আওয়ামী লীগের মতাদর্শে বিশ্বাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম অনিক বিভিন্নভাবে নবগঠিত কমিটিকে বিতর্কিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন । ছাত্রদলের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা দুইজন বলতো ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে বিতর্কিত করতেই বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার চালিয়ে আসছে ।
শুধু অপপ্রচার করে থেমে থাকেননি এই সাবেক ছাত্রদল নেতা । গত ১৮ নভেম্বর কমিটি গঠনের একদিন পরেই তারা কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন । সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন সাগির কোরাইশী, আহমেদ হাসান আশরাফী অভিক সহ বেশ কয়েকজন বিপথগামী ছাত্রদল নেতা ।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, একটি বিশেষ মহলের অর্থায়নে এবং প্ররোচনায় তারা বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যয় করে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ।
এদিকে তাদের এই সংবাদ সম্মেলন এবং বর্তমান কর্মকাণ্ডকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা ছাত্রদলের একাধিক নেতা সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র একাধিক নেতাকর্মী ।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি এবং ছাত্র দলের একাধিক নেতৃবৃন্দ মনে করেন দলীয় প্রয়োজনে তাদের কোনো বিশেষ ভূমিকা না থাকলেও পদ-পদবী পাওয়ার জন্য তারা যা শুরু করেছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । যারা শহীদ জিয়ার দল করেন তারা কখনোই পদ-পদবির জন্য এভাবে বিষোদগার করতে পারেন না । আর যারা পদ-পদবির জন্য অপপ্রচার চালান, তাদের বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের সহিত কোন প্রকার সম্পর্ক থাকতে পারে না ।
অবিলম্বে বিপথগামী এই সমস্ত ছাত্রদল নেতাদের বহিষ্কারের দাবি জানান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা । কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় এবং দলীয় সিদ্ধান্তের উপরে যাদের আস্থা নেই, তাদের মত নেতা কর্মী প্রয়োজন নেই ।
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কতিপয় বিপথগামী ছাত্রনেতা মূলত: কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলকে ধ্বংসের পায়তারা করছে । তারা অনতিবিলম্বে এই সমস্ত ছাত্রদল নেতা কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ।
(পর্ব-১)