কুড়িগ্রামে প্রচণ্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। একদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব; অপরদিকে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ। আক্রান্তরা আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসলেও স্থান সংকুলানের কারণে পরতে হচ্ছে বিপাকে। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর আধিক্য।
এদের বেশিরভাগ শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে প্রায় আড়াই শতাধিক রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও ভর্তি রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক রোগী। গত চব্বিশ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে আরো ২০জন রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ১২টি বেড।
ফলে বেড সংকটে মেঝেসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা । অধিক রোগীর কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। এরমধ্যে অভিযোগ রয়েছে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার। সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের হালমাঝিপাড়া গ্রামের স্বপন কুমারের স্ত্রী লাবনী রায় এসেছেন তার বার বছরের পুত্র শিশিরকে ভর্তি করাতে। বেড না পেয়ে সন্তানকে গত দুদিন ধরে মেঝেতে রেখেছেন। একই অবস্থা ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিনের।
ছেলের ৭মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে পাতলা পায়খানা ও জ্বরের প্রকোপে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। দ্বিগুণ রোগীর কারণে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাবার স্যালাইন পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এদিকে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের কর্মী ওবায়দুল হক।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: নবীউর রহমান জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে ডায়রিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগী কিছুটা বেড়েছে। তবে আমাদের ডায়রিয়া ইউনিটে চিকিৎসার কোন ত্রুটি হচ্ছে না। আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। খাবার স্যালাইনসহ ডায়রিয়া রোগীদের কোন সংকট এই মূহুর্তে হাসপাতালে নেই।