এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের ৫ কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আজ রোববার ফলাফল ঘোষণার পর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো—রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা মডেল কলেজ, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাগেশ্বরী উপজেলার সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম কলেজ এবং রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ আদর্শ কলেজ।
এর মধ্যে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা মডেল কলেজ থেকে এক, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চার, নাগেশ্বরী উপজেলা সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ থেকে এক, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মইদাম কলেজ থেকে এক এবং রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ আদর্শ কলেজ থেকে ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এ ব্যাপারে বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পুরোনো হলেও এইচএসসি ভর্তি শুরু হয় ২০০৫ সালে। এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এনটিআরসি থেকে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে তাঁরাও নিয়মিত কলেজে আসেন না। গত বছর কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এবারে মোট চারজন ছেলে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের ক্লাস ভালোভাবে হয়নি। ফলে এমন ফলাফল হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম বলেন, ‘শতভাগ ফেল করার বিষয়টি দুঃখজনক। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার মান নষ্ট করছে। আমি চাই সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। এই ফলাফল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ১২ হাজার ২২৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ পাসের হার নিয়ে পাস করে ৮ হাজার ৩৩০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্য জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩৩ জন।
দিনাজপুর বোর্ডে গত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার কমেছে। ২০২২ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।