কষ্টিয়া শহরের জিলা স্কুলের সামনে মফিজ উদ্দিন লেনের প্রারম্ভেই ড্রেন ও রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্দ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের প্রথম দিকে ড্রেন ও রাস্তার কাজ শুরু হলে ৭৫% কাজ সমাপ্ত হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও ২৫% কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভা ও ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ভূমিদশ্যু শেখ ইব্রাহীম এর হস্তক্ষেপে কাজ বন্দ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়টি নিয়ে মজমপুরবাসী কুষ্টিয়া পৌর মেয়র, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দপ্তরে ১০৮ জনের স্বাক্ষরিত একটি গণপিটিশন দায়ের করেন।
উক্ত গনপিটিশনে উল্লেখ আছে যে, ২০২২ সালের প্রথম দিকে রাস্তা ও ড্রেন এর কাজ শুরু হয় ইতিমধ্যে ৭৫% কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মাত্র ১০০০ ফুট রাস্তা ও ড্রেনের কাজ ভূমি দস্যু শেখ ইব্রাহীমের কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সমাপ্ত করতে পারছেনা। ভূমি দস্যু শেখ ইব্রাহীম তার এস.এ রেকর্ড অনুসারে ৯ শতক জমির মালিক হওয়া স্বত্তেও আর.এস রেকর্ড মতে ১৪ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ইতিমধ্যে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ভূমি দস্যু শেখ ইব্রাহীমের বাড়ীর উপর (তার নিজস্ব সার্ভেয়ার) ৪ বার এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে পৌরসভার সার্ভেয়ার (মোট দুই সার্ভেয়ার) দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম পরিমাপ করে দেখে অতিরিক্ত ৬ শতক রাস্তা সংলগ্ন পৌরসভার জমি প্রাচীর দিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন ভূমিদশ্যু শেখ ইব্রাহিম।
উল্লেখ্য কোথা থেকে উক্ত ৬ শতক জমি আর.এস রেকর্ড ভুক্ত হলো তা তিনি পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও এলাকাবাসীকে দেখাতে পারেন নাই। ফলে ভূমিদশ্যু শেখ ইব্রাহিম ও পৌর প্রকৌশল বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। উক্ত রাস্তার সন্মুখেই রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় ৪/৫ হাজার বাসিন্দা। উক্ত মফিজ উদ্দিন সড়কে বিলাশবহুল বাসাতে বসবাস করছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বড়-বড় উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা ও জেলা জজ আদালতের অনেক বিচারক মন্ডলী।
অভিযোগে এটাও উল্লেখ আছে, শেখ ইব্রাহীম নিজেকে তিনি মেয়র মহোদয়ের আস্থাভাজন হিসেবে প্রচার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বেড়াচ্ছেন। অতি দ্রুত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সম্পন্ন না করলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাতে প্রায় ৪/৫ হাজার জনগন ভোগান্তির শিকার হবে। এলাকাবাসী জানান, ইব্রাহিম শেখ পৌরসভার রাস্তা অনৈতিক ভাবে ৬ শতক জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়েছে। পৌরসভার পরিমাপে সরজমিনে পেলেও কেন প্রাচীর ভাঙ্গছেনা পৌর কর্তৃপক্ষ। উক্ত রাস্তা জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এলাকাবাসী এটাও বলেন, অতি দ্রুত নির্মান কাজ সম্পন্ন না করলে জনস্বার্থে এলাকাবাসী হিসাবে আমরা মহামান্য হাই কোর্টে রিট পিটিশন করতে বাধ্য হবো।
এদিকে ইব্রাহিম শেখ পৌর কর্তৃপক্ষকের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, আমজাদের বাড়ী ও শাজাহান টাওয়ারের পিছনে নার্সের বাড়ীর সামনে বেদখলকৃত পৌর রাস্তা বিধি মোতাবেক ভাংগা হয়নি। এখানে সজন প্রিতি বা আইন লংঘন করেছে পৌরসভা। এ বিষয়ে পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলীর মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর একটি গনপিটিশন পেয়েছি এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমরা অতি দ্রুত নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সমাপ্ত করব।