গাংনীতে নিয়োগ বানিজ্যে ইউএনও’র হস্তক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৩০ বার পঠিত

 

মেহেরপুরে গাংনীতে হিন্দা গ্রামের এইচ এম এইচ ভি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ‘গ্রন্থাগারিক’ পদের নিয়োগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেল। আজ শুক্রবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চলমান নিয়োগ পরীক্ষাটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংগঠিত না হওয়ায় নিয়োগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষসুত্রে জানা গেছে, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনিয়তান্ত্রিকভাবে এ নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।

আজ বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার’র নিকট থেকে জানা গেছে, এইচ এম এইচ ভি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ”গ্রন্থাগারিক” পদে নিয়োগ পরীক্ষা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে তাঁর সাথে সাক্ষাৎকালে জানা গেছে, পরীক্ষা বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি এখনও এসে পৌঁছাননি। তাহলে পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হলো ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “তিনি আমাকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন”।

উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে পরীক্ষার্থী মফিজুর রহমান অভিযোগ তুলে বলেন, “এইচ এম এইচ ভি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যায়। সেখানে গিয়ে দুইজন পরীক্ষার্থী যারা অন্য স্কুলে চাকুরীরত আছে, তাদের পরীক্ষার্থী হিসাবে দেখতে পেয়ে আমি আশ্চর্য হই! এবং পরীক্ষা না দিয়ে বের হয়ে আসি। আমি তাদেরকে দেখে বুঝতে পেরেছি এখানে দুর্নীতি করা হচ্ছে। সে কারনে আমি পরীক্ষা বর্জন করেছি”।

নতুন ব্রজপুর গ্রামের পরীক্ষার্থী মহাসিন আলীর স্ত্রী শাহানাজ পারভীন পরীক্ষা কেন্দ্রে এক প্রশ্নের জবাবে জানায়, আমি কোথাও চাকুরী করি না। বিভিন্ন মারফতে জানা যায় যে, সে কাজিপুর মধ্যপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত আছে। পরবর্তীতে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে চাকুরী করার সত্যতা স্বীকার করে এবং সকালে মিথ্যা বলার জন্য অনুতপ্ত হয়।

হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পরীক্ষার্থী আজিজুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান সাহেবনগর বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে বহাল তবিয়তে চাকুরীরত আছে। সে জানায় আমি ভেবেছিলাম গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ হবে সে জন্য আমি পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। তাহলে তিনি দরখাস্ত করার সময় কি স্কুলের নাম দেখেননি ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রধান হিসেবে মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সামস আরা বেগম উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থ এবং ডাক্তার দেখানোর অজুহাতে অনুপস্থিত থাকেন। এসময় তিনি তাঁর উচ্চমান সহকারী আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেন বলে জানা গেছে। তবে উচ্চমান সহকারী আবুল কালাম আজাদ জানান, “আমিও একটি বিশেষ কারণে পরীক্ষার সময় উপস্থিত হতে পারি নাই, তাই প্রধান শিক্ষককে পরীক্ষাটি স্থগিত করে দেওয়ার জন্য বলেছি। পরে কোন একদিন পরীক্ষাটি নিয়ে নেওয়া হবে”।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, “ এ নিয়োগের বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষাটি নেওয়ায় তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে”।

তথ্যঃ গাংনীর সংবাদ

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর