গাংনীতে কলেজ ছাত্র মুন্না কে হত্যা প্রচেষ্টা অপর বন্ধু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৭২ বার পঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে বন্ধুর জন্মদিন পালন করার নাম করে অপর বন্ধুকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
হত্যা প্রচেষ্টাকারী জামিল হোসেনকে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।
আটক জামিল হোসেন গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রাসের পুলিশে কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

এঘটনায় আহত মুন্নার মা বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চত করে বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের ভিটাপাড়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী আবুল কালামের ছেলে কলেজ ছাত্র মুন্নাকে গাংনীর বন্ধু ফাহিম হোসেনের জন্মদিন পালন করার নাম করে তার অপর বন্ধু জামিল হোসেন মোবাইল ফোনে ডেকে নেন।

মুন্না গাংনী শহরে আসার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। মুন্নাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। মুন্নাকে বলে আমরা নির্জন কক্ষে সব আয়োজন করে ফাহিমকে সারপ্রাইজ দেবো।

মুন্নাকে নির্জন কক্ষে নিয়ে গিয়েই মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে গলায় রশি পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

পরে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত এক নার্স তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত মুন্না মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের ভিটাপাড়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী আবুল কালামের ছেলে। সে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

বুধবার (৪ আগষ্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক আটটার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি পরিত্যক্ত ভবনের একটি নির্জন কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত মুন্না জানিয়েছেন, তার বন্ধু গাংনী উত্তরপাড়া এলাকার পল্লি বিদ্যুতের লাইনম্যান জিতাউলের ছেলে ফাহিম হোসেনের জন্মদিন পালন করতে এসেছিলেন। অপর বন্ধু বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার পুলিশে (বর্তমানে) র‍্যাবকর্মরত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জামিল হোসেন গাংনী হাসপাতাল ক্যাম্পের নির্জন এলাকার একটি পরিত্যাক্ত ভবনের কক্ষে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উদ্ধারকারী গাংনী হাসপাতালের একজন সেবিকা জানান, হাসপাতালের ডিউটি শেষে আমার স্বামীসহ ওই এলাকা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ পরিত্যাক্ত ভবনের একটি কক্ষে তালা ভাঙ্গা এবং ধস্তাধস্তির শব্দ ভেসে আসায় আমরা দুজনে চিৎকার শুরু করি। হঠাৎ গলায় রশি পেঁচানো এবং হাত ও পায়ে জানালার পর্দার ছেঁড়া কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় যুবককে দেখতে পাই। সাথে সাথে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানেই তার গলার ফাঁস ও হাত পায়ে বাঁধা কাপড় কেটে দিই।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম মুন্নার ওই বন্ধুকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেন। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।

লিটন মাহমুদ
মেহেরপুর ৫/০৮/২১

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর