গাংনীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ষণের নাটক
মেহেরপুরের গাংনীতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ষণের নাটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম টুটুল।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়,শনিবার দিবাগত
রাত ১২ টার দিকে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে সাহারবাটী গ্রামের তিন জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয় যারা সাহারবাটী স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃরাকিবুল ইসলাম টুটুলের কাছের ছোট ভাই।
অভিযোগকারী মহিলাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ০৩ জনের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য প্ররোচিত করে সাহারবাটী গ্রামের ক্লাব পাড়ার ময়নাল হকের ছেলে সেলিম। এ ব্যাপারে অভিযোগ কারী মহিলা ও সেলিম জবানবন্দতে দোষ স্বীকার এবং ঘটনার নাটকীয়তা বর্ণনা করে পুলিশের কাছে। তাদের বর্ণনায় ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো নাটক প্রমাণিত হয় পুলিশের কাছে। তদন্ত শেষে পুলিশ হেফাজতে রাখা সেই তিন রাকিবুল ইসলাম টুটুলের কর্মীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সাহারবাটি স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল জানান, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে আমি মনে করি।তিনি আরো বলেন “রাখে আল্লাহ মারে কে” অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় ও নাটকীয়তা প্রমাণ হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে রাখা সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে।
অভিযোগের সঠিক তদন্ত করার জন্য গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলামের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোঃ রাকিবুল ইসলাম টুটুল এবং বলেন, যারা এমন মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় না এনে সংশোধন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সরেজমিনে পরিদর্শন অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যার ফলে আটককৃতদের তাদের নিজ নিজ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।