মেহেরপুরের গাংনীতে পরীক্ষার ৩ দিন পর পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পিএসসি পরীক্ষার্থীর খাতা উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ নভেম্বর ইং তারিখে পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশ করে ৩ দিন আগে অনুষ্ঠিত ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষার ১ টি খাতা পড়ে থাকতে দেখে কক্ষ পরিদর্শকদের খবর দেয়া হয়। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ফতাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা খাতাটি উদ্ধার করেন।
স্পর্শকাতর ঘটনাটি সাথে সাথেই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র্। উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে ঘটনা ছড়্রেিয় পড়লে অবস্থা বিগতিক দেখে কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসানকে খবর দেয়া হয়।এটিইও ফয়সাল বিন হাসান ঘটনা ধামাচাপা দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও জানাননি।
পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করে পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য অনরোধ জানান। কেন্দ্র সচিব সূত্রে জানা গেছে,গাংনী উপজেলার পৌর সদরের চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫ টি কক্ষে সর্বমোট ২৪৫ জন শিক্ষার্থী এবছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কেন্দ্রের দোতলায় ৪ নং কক্ষে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক ঐ দিন পরীক্ষা শেষে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্বরত দু’জন শিক্ষিকা দায়িত্বে অবহেলা করে (রোল নং -৫০০৪) খাতা সংগ্রহ না করে হল সুপারকে ভুল তথ্য দিয়ে বাড়ী চলে আসে।
জানা গেছে, ঐ দিন কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে আযান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার বানু ও পাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা পারভীন দায়িত্বে ছিলেন।
এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসান জানান, খাতাটি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের গাফিলতি ছিল।পরীক্ষার্থী গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের ছাত্র।খবর ছড়িয়ে পড়লে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পরীক্ষার্থীর অভিভাবক উদ্বিগ্ন। খাতা সংযুক্ত করা হবে বলে এটিইও আশ্বস্ত করেন।
এব্যাপারে শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, ৩ দিন আগে পরীক্ষার খাতা হারিয়েছে।এমন তথ্য আমাকে জানানো হয়নি। এমনকি ইউএনও মহোদয়কেও অবহিত করা হয়নি।খাতার কোড বসানো হলে সেই খাতা কিভাবে সংযুক্ত করা হবে।এব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার এড়িয়ে যান।
এসব গাফিলতির কারনে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর ফলাফল না হলে ১ টি বছর নয় একটি জীবন ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খাতা হারানোর ব্যাপারে ইউএনও মহোদয় ও শিক্ষা অফিসারকে জানানো অথবা থানায় জিডি করা হয়নি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, পরীক্ষার খাতা হারিয়ে যাবার কথা সেদিন জানায়নি তবে পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ না করাটা দুঃখজনক।পরীক্ষার বিষয়টি খুব সেন্সেটিভ। ছেলে মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকরা খুবই উদ্বিগ্ন থাকেন। শেষ দিনে খাতা পাওয়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। তবে এ নিয়ে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।