মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে ইমদাদুল হক (৪৯) নামের এক ব্যক্তি হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২ টায় উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। জখম হওয়া ইমদাদুল হক তেঁতুলবাড়ীয়া মোল্লা পাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের আঃ বারীর ছেলে ইকবাল হোসেন জানান, জুম্মার নামার পড়ে বাড়ীতে ফিরে এসে গ্রামের চৌরাস্তার ঘোনার মোড়ে সাবেক মেম্বর আমানুল্লাহ এর সাথে হযরত ও মনিরুল ইসলামের বাকবিতন্ডে এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষের সূচনা হয়।
পরে মাসুম পক্ষের লোকজন এসে ইমদাদুল হককে দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা, বাম চোঁখ ও বাম পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে জখম করে। স্থানীয়রা ইমদাদুল হককে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এছাড়াও মাসুমের নেতৃত্বে একই পাড়ার রফাত চৌকিদারের ছেলে চান্দু (৪০), মৃত আজিবার বাইনের ছেলে হযরত (৫০) ও সোনা (৪০) মোফার ছেলে নাজিমুদ্দিন (৩০), মৃত মারফত আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম ((৩৮), মৃত কেরামত আলীর ছেলে আঃ বারী (৪০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলামসহ দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে মাসুম জানান, মসজিদ কমিটির সভাপতি গত সাত বছরের হিসাব দেন না। তিনি কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলাপ না করে আদালতে মসজিদের জমি নিয়ে মামলা করেছে। তাছাড়া মসজিদের কমিটি নতুন ভাবে গঠনের বার বার দিন দেওয়ার পরেও বিভিন্ন অজুহাতে পূর্বের কমিটিকে বহাল রাখার পায়তারায় অতিষ্ঠ হয়ে মুসল্লিরা এ ধাওয়া পাল্লা ধাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ইমদাদুলকে জখমের বিষয়ে তিনি জানান, আমি বা আমার কোন লোজজন তাকে আঘাত করেনি তাদের লোকজনের আঘাতে তিনি জখম হয়েছেন।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রত সমস্যা নিরসন করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের সহিংসতা ঘটতে পারে। শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।