মেহেরপুরের গাংনীর পল্লীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ২ টি বাড়ি ও নগদ টাকাসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।
শুক্রবার (১১ মার্চ), বিকেল সাড়ে তিন টার দিকে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের মাইলমারী গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্বাস আলীর বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক আব্বাস আলী জানান, তিনার স্ত্রী কাফিরন নেছা রান্না ঘরে রান্না করছিলেন। এমতবস্থায় ঘরে চাউল আনতে গেলে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে করে তিনার রান্না ঘরের ৫ বান টিন, মাটির হাঁড়ির মধ্যে থাকা ২ হাজার টাকা, রান্না ঘরের বাঁশ খুটি, হাঁড়িপাতিল পুড়ে ছায় হয়ে যায়। ঘটনায় ১ টি গরুও পুড়ে আহত হয়েছে।
স্হানীয় আমানত, খোকন, আর্মিজুল, কাউসার, খোকন, জামাল ও শ্যামলী জানান, আগুনের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে, আব্বাস আলীর রান্না ঘর থেকে তা পাশের বাড়ির আয়নাল হকের ছেলে রিপনের বাড়িতেও লেগে যায়।
রিপন হোসেন জানান, পাশের বাড়ির আগুন এসে আমার বাড়ির শয়নকক্ষে লাগে। এতে করে আমার ঘরের টিন, ঘরে থাকা ১০ হাজার টাকা, ১টি টিভি, ২ টি এন্ড্রোইড ফোন, ১ টি বাটন ওয়ালা ফোন, ৩ টি চৌকি, ১ টি খাট, ১ টি সুকেস, ৩ টি চেয়ার, টেবিল, কাঁথাবালিশসহ সকল আসবাবপত্র নিমিষেই পুড়ে ছায় হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে রোদের তীব্রতা বেশি ছিল এবং বাতাস বইছিল। একারণেই খুব সহজে আব্বাস আলীর রান্না ঘর থেকে রিপনের বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পরিবারের ২ টি বাড়ি ভস্মীভূত হয়। ঘটনায় নগদ টাকাসহ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়ে পরিবার দু’টি পথে বসে গেছে।
স্হানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার জানান, আগুনের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা অসম্ভব ছিল। আজ শুক্রবার হাটবার যে কারণে হাটে আসা জনগণ ও গ্রামবাসী মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা বিলম্বিত হয়। ততক্ষণে ঘরে থাকা সকল কিছু নিমিষেই পুড়ে ছায় হয়ে যায়।
স্হানীয়রা জানান, আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে টিনে হাত কেটে ও আগুনে পুড়ে আহত হন জামাল উদ্দিনের জামাতা কামরুল, মুনসুর আলীর জামাতা মালেক ও আকবর আলীর ছেলে উজ্জল।
তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পথে বসেছে পরিবার দু’টি। সর্বস্ব সম্বল আগুনে পুড়ে নিস্বঃ হয়ে গেছে।
এমতবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে কিছুটা আর্থিক সহযোগিতার জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।