গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও তালাবদ্ধ অফিস কক্ষ থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার চুরি হওয়া ল্যাপটপটি পরের দিন শনিবার দুপুরের দিকে উদ্ধার হয়েছে।এটি একটি রহস্যজনক ঘটনা। ল্যাপটপ পাওয়া গেলেও গুরুতু¡পূর্ণ ডক্যুমেন্টস ডিলেট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের টিবি সেকশনের ল্যাব টেকনিশিয়ান মাখন এর ব্যবহৃত এইচ পি কোম্পানীর একটি ল্যাপটপ তার তালাবদ্ধ অপিস কক্ষ থেকে চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু হয়।একপর্যায়ে শনিবার বেলা ১ টার সময় স্বাস্থ্য্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. বিডি দাশ ল্যাপটপটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ল্যাপটপটি কে নিয়েছে, এবং হারানো ল্যাপটপটি কোথায় ছিল কেনইবা সরকারী গুরুত্বপূর্ণ ডক্যুমেন্টসগুলি মুছে ফেলা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব ডা. বিডি দাশ এড়িয়ে যান।
এমনকি তার কর্তৃপক্ষ টিএইচও মহোদয়কেও জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।টি বি সেকশনের ল্যাব টেকনিশিয়ান মাখন জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আমি অফিসের কাজ শেষ করে অফিস বন্ধ করে বাসায় চলে যাই্।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শনিবার সকালে অফিসে এসে অফিস কক্ষের তালা খুলতে না পেরে আমি র্কৃপক্ষকে জানাই।কয়েকজন স্টাফের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে অফিস কক্ষে ডুকে দেখতে পাই ল্যাপটপটি নেই।
বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন র্কৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।শনিবার দুপুরে ল্যাপটপটি ফেরত দেয়া হলেও ল্যাপটপের সমস্ত ডক্যুমেন্টস মুছে ফেলা হয়েছ্।েগাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ রায়হান শরীফ জানান, ল্যাপটপ চুরির ঘটনাটি সত্য। তবে একদিন পর ডা. বিডি দাশ র্যাপটপটি ফেরত দিয়েছে।তবে তিনি কর্তৃপক্ষকে কোন রকম প্রশ্নে না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।এঘটনায় সাথে সাথে ডা. বিডি দাশকে আরএমও পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিডি দাশ সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ না করে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের ধারণা , ডা, বিডি দাশ একজন মাদকাসক্ত চিকিৎসক।গাংনী হাসপাতালে যোগদানের পরপরই ঐ মাদকাসক্ত ডাক্তার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ফেন্সিডিল নিয়ে আলমডাঙ্গায় আটক হয়েছিল। একদিন পর যখন ল্যাপটপটি ফেরত দিয়েছে।তখন বিভিন্ন মহলের ধারণা ঐ মাদকসেবী ডাক্তার বিডি দাশই চুরি করেছিল। অফিস কক্ষ থেকে ল্যাপটপ চুরির সময় তালা খুলতে গিয়ে তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। ডা. বিডি দাশকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় কে অবহিত করা হয়েছে।ওসি মহোদয় বজলুর রহমান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
্এছাড়াও ডা:বিডি দাশের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন,গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামের মেম্বর আব্দুল খালেক তিনি লিখিত অভিযোগ পত্রে বলেছেন,আমার পত্র ফয়সাল হোসেন (১৮) পুত্রের ডান হাতের জয়েন্টে হঠাৎ ব্যাথা শুরু হলে আমি আমার পুত্রকে অর্থপেডিক্স ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমানের মাধ্যমে চিকিৎসা করায়।
তাহার নিকট নিয়মিত চিকিৎসা করাকালীন আমার পুত্রের হাতের ব্যাথা বৃদ্ধি পাইলে বিগত ইং ০৭/০১/২১ তারিখে আমি আমার পুত্রকে উক্ত ডাঃ আনিছুর রহমানের কাছে নিয়ে গেলে তিনি না থাকায় ডাঃ বিডি দাসের নিযুক্ত দালাল বলে তার নিকট চিকিৎসা নিলে আরোগ্য লাভ করবে শুনে আমি আমার পুত্রকে বিডি দাশের নিকট নিয়ে গেলে অর্থপেডিক্স ডাঃ না হলেও তিনি আমার ছেলেকে ওষাধের সহিত পুত্রকে ঃৎরধষড়হ ৪০ সম রহলবপঃরড়হ)ব্যব¯’াপত্রে করিয়া উক্ত তারিখে ডান হাতের জয়েন্টে প্রয়োগ করেন এবং ১৪দিন পরে আসিয়া উক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করার পর থেকে যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাইতে থাকে এবং ডান হাতের কোষ শুকাইতে থাকে আমি ডাক্তাকে জানালে তিনি বলেন ঠিক হয়ে যাবে।
অথচ আমার পত্র কাটা মুগীর মত ছটফট করতে থাকে আমি পত্রকে নিয়ে প্রথমে কুষ্টিয়া পরে রাজশাহীতে চিকিৎসা করায়।উক্ত হাতের অপারেশন পর্যন্ত করতে হয়েছে।ডাক্তার বিডি দাশের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার পত্র আজ প্রায় বিকলাঙ্গ এবং আমি আর্থিভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছি।তাই বিডি দাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ’া নেওয়ার জন্য মেহেরপুর সিভিল সার্জনসহ প্রেস কøাবের মাধ্যমের লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।সে তদন্ত পৃর্বক নিউজ প্রকাশের অনুরোধ করেন।
এব্যাপারে ডাঃ বিডি দাশের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আহমেদ রায়হান শরীফ জানান, ল্যাপটপ চুরির ঘটনাটি সত্য।তবে একদিন পর ডা.বিডি দাশ র্যাপটপটি ফেরত দিয়েছে।তবে পুলিশ তদন্ত করছে। ভুল চিকিৎসার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।