বিতর্কিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্লিকনিউজবিডির সম্পাদক জালাল উদ্দিন সাগরের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল ও সিএমএম আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী। আদালত মামলাটি (নং-১০/২০২৪,চট্টগ্রাম) আমলে নিয়ে যথাক্রমে ডিআইজি এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালে গত বুধবার ৩ জানুয়ারি দায়েরকৃত মামলায় বলা হয়েছে, বাদী জাবেদ আবছার চৌধুরী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি এনএসি অটোমোবাইলস এর এমডি। এছাড়াও তিনি মা ও শিশু হাসপাতাল,ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যানমূলক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি ২০২১-২০২৪ সালের মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে ১০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিবাদি পক্ষ বাদির সুনাম ক্ষুন্ন করতে ক্লিকনিউজবিডিতে ‘এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি বাণিজ্য লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জাবেদ আবছার’ শিরোনামে তার বিরুদ্ধে ভূয়া,বানোয়াট, মিথ্যা, মনগড়া, মানহানিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ নিউজ সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাদি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন। নিউজের সব তথ্যই ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। নিউজটি আসামি জালাল উদ্দিন সাগর তার আইডিতে শেয়ার করেন। অদ্যাবধি নিউজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যমান আছে। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাদির দীর্ঘদিনে গড়ে তোলা ক্যারিয়ার হুমকির সম্মুখীন হয়।
আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামি ২৭ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে প্রায় একই ধরনের অভিযোগে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৩ মার্চের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানা ও সিআইডিতে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, জালাল উদ্দিন সাগরের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তার স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে তিনি নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
২০১৪ সালে সাগর ও তার স্ত্রী মাহবুব মোরশেদ নামে এক ব্যবসায়ী ও তার তিন সন্তানকে চান্দগাঁও থানায় ২দিন আটকে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে ওই ব্যবসায়ী আদালতে মামলা করেছিলেন। ঘটনাটি সেসময় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।