মিরসরাইয়ের খৈয়্যাছড়া ঝর্না দেখে ফেরার পথে রেললাইন অতিক্রম করাকালে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্হলেই ১১ জন পর্যটকের মর্মান্তিক মৃর্ত্যু ঘটলে তাদের আর বাড়ি ফেরা হলো না।হাসপাতাল নেয়ার পর আরো ১ জনের মৃর্ত্যু ঘটে।
আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) জুমার সময় পৌনে ১টার নাগাদ খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা এলাকার রেলক্রসিং এ মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝর্না দেখতে আসেন মাইক্রোবাসের চালকসহ ১২ যুবক। ঝরনা দেখা শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে অন্যস্হানে যাওয়ার জন্য ফেরার পথে রেললাইন অতিক্রম করাকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন, গুরুত্বর আহত হন একজন। আহতজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই সদর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
এদিকে ঘটনার পরপর মিরসরাই থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে মাইক্রোবাসে বহনকারী ১১ যুবক। আহত ১জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হতাহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এটুকু জানা গেছে তারা সকলেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকা থেকে ঝরনা দেখতে এসেছিলো।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে এ রিপোর্ট লেখার সময় বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জিআরপি পুলিশের সীতাকুন্ড ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) খোরশেদ আলম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি কেটে কেটে লেন থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
উল্লেখ্য,আনন্দ ভ্রমনে আসা প্রায় পরিবহনগুলো বেপোয়ারা চলাচল,গাড়ীতে হৈ হৈল্লুল করে থাকে পর্যটকরা, ফলে অসেক সময় ট্রেনের আওয়াজ শুনতে পায়না,অনেকে আনন্দ উল্লাসে গাড়ী চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ে,ফলে
এমন দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়।