চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড বেড়ীবাধঁ(বালুর মাঠ সংলগ্ন গোলচত্তর মোড় হতে আজ ১২ডিসেম্বর(সোমবার) ভোর বেলায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমান (১পিকআপ বিদেশী মদ)সহ ১জন কে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিসি (বন্দর জোন) শেখ মোঃ শরিফুজ্জামান।
সোমবার বিকেলে ইপিজেড থানা এলাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এডিসি শরীফ আরও সাংবাদিকদের জানান,আকমল আলী রোড বেড়ীবাধঁ বালুর মাঠ সংলগ্ন লিংরোড দিয়ে নদীপথে আসা প্রায় ৪৪কাটন(১পিকআপ বিদেশী মদ)৫২৮বোতল চোরাকারবারীরা নিয়ে যাচ্ছিলেন। উক্ত গোপন তথ্যর ভিত্তিতে পিকআপ ভ্যান(ঝালকাঠি-ন ১১-০১৯৩) কে আটক করলে গাড়ী রেখে চোরাকারবারী সদস্যরা চোরাই মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিশেষ অভিযান করে গাড়ীর হেলপার মোঃ সেলিম (৩৫),পিতা-মোঃ আবুল কাশেম,সাং-মানরা,ব্রাক্ষ্মনপাড়া, কুমিল্লা কে আটক করেন।
অভিযানে উদ্ধারকৃত বিদেশী মাদকের মূল্য প্রায় আনুমানিক ৪০লাখ টাকা হতে পারে বলে জানান।
আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এডিসি শরিফ আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি চোরাকারবারী চক্র নদীপথে ও পতেঙ্গা-ইপিজেড বন্দর সংযোগ(লিংরোড) দিয়ে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ,গাজা-উস্কী , বিয়ার ও বিদেশী সিগারেট পাচার হবার খবর থাকলেও সঠিক তথ্যর অভাবে তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা নিয়ে মদ ও চোরাকারবারী চক্রকে ধরতে স্বচেষ্ট রয়েছে পুলিশ টিম। উদ্ধার অভিযান চলাকালে আরো ৩/৪জন অজ্ঞাত চোরাকারবারী দলের সদস্য পালিয়েছেন বলে ও জানায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করিম, পুলিশের তদন্ত অফিসার (এস আই) মোঃ আরিফ হোসাইন এবং থানার ওসি তদন্ত মোঃ নুরুল বাশার।
সোমবার ভোর সাড়ে৫টা থেকে ৫.৪০ মিনিট পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে এস.আই আবু সাঈদ,এস.আই বেলায়েত হোসেন,এ.এস আই আল মামুন,এ.এস আই মনিরুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্স। এঘটনায় ইপিজেড থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের২৫-বি /২৫-ডি ধারায় ০৫নং মামলা রুজু হয়েছে বলে থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। এছাড়া আটক ব্যক্তি কে রিমান্ড আবেদনসহ বাকি আসামীদের ধরার চেষ্টা থাকবে বলে ওসি আব্দুল করিম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।