চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কেটে রামিম হাসান (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১১) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা ব্রিজের পাশে পাঁচ ফোকট নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রামিম হাসান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহপাড়ার (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) জহুরুলের ছেলে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে শােকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন তার বাবা জহুরুল ইসলাম। ছেলের মুখখানা দেখার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা হিসাবে ধরলেও মুত্যুর সঠিক কারণ এখনও নির্ণয় করতে পারেনি পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, বুধবার সকালে ঘোড়ামারা ব্রিজের অদূরে পাঁচ ফোকট নামক স্থানে রেললাইনের উপর এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সকালে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে কেটে নিহত হয়েছে ওই যুবক।
নিহতের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, তার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম সিঙ্গাপুর থেকে মোবাইলে ছেলের মৃত্যুুর বিষয়টি জানায়। তখন চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
জানা গেছে, রামিম হাসান তার মায়ের সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তবে সে আত্মহত্যা করেছে না অন্য কিছু তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মনে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। চলছে না বিশ্লেষণ।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।