জাল সাক্ষর করে গাংনী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ।
মেয়রের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মোঃ রফিকুল ইসলাম ,নির্বাহী সম্পাদক : মেহেরপুরের গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি ও দোকান উচ্ছেদের অভিযোগে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে ৩জন ভুক্তভুগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মো: জহুরুল ইসলাম ঝন্টু গাংনী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ। নামের এক হোটেল ব্যবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেছেন,মেয়র আশরাফুল ইসলাম তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে দোকান উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেছেন আলিউল ও নাজমুল হোসেন নামের আরও দুজন ব্যবসায়ী।
লিখিত অভিযোগ গ্রহনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মহর যুক্ত অভিযোগ এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে তবে ঘটনাস্থলে অভিযোগকারীদের না পাওয়ায় সরাসরি তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি একেবারে ভিত্তিহীন ও মনগড়া করেছে। যে অভিযোগ করেছে সে ওখানে ব্যবসা করবে। সেখানে ব্যবসা করতে হলে তাকে জামানত দিতে হবে আর তা সম্পূর্ণ ব্যাংকের মাধ্যমে পৌরসভাকে দেবে।
উক্ত বিষয় নিয়ে আজ ১২/০৮/২০২০ইং রাত ১০ঃ০০ গাংনী বাজার কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান স্বপন অভিযোগকারীদের নিয়ে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে জরুরী বৈঠকে বসেন। এবং অভিযোগকারীদের অভিযোগ শোনেন।
মোঃ জহুরুল ইসলাম ঝন্টু কোন অভিযোগ করেননি বলে জানান।তিনি সারাদিন হোটেলে ছিলেন, তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অভিযোগ পএে সাক্ষরটি তার ছিল না। সাক্ষরটি জাল।
অভিযোগকারী সেলুনের দোকানদার মোঃ নাজমুল হুদা মেয়র মহদয়ের নিকট ক্ষমা চেয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার পএে সাক্ষর করেন। হোটেল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম ঝন্টু বলেন আমিতো অভিযোগ করিনি তাহলে প্রত্যাহার পএে সাক্ষর করা লাগবে কি না? এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান (স্বপন) বলেন অভিযোগপএ কেও না কেও জমা দিয়েছে সেহেতু সাক্ষর করুক সমস্যা নাই।
মেয়র জানান আমি তাদের কাছে কোন টাকা দাবি করি নাই।
এদিকে অভিযোগকারি নাজমুল হুদা জানান, অভিযোগ দায়ের করার কথা পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানতে পেরে তিনি আমাদের কাছ থেকে টাকা নেবেননা বলে আশ্বাস দিলে ঐ অভিযোগ আমরা প্রত্যাহার করি। বর্তমানে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। তবে ঘর নির্মাণের জন্য আমাদের সাধ্যমতো যদি সে টাকা দাবি করে তাহলে আমরা দেব।
এ সময় অভিযোগকারী আলিউল কে একবার দেখা গেলেও পরে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসকের কাছে জাল সাক্ষর করে মেয়রের সম্মানহানি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিষয়টি জেলা প্রসাশক খতিয়ে দেখবেন এমন প্রত্যাশা হোটেল ব্যবসায়ি ঝন্টু’র। এটা ঝন্টু’র বিরুদ্ধে চএান্ত হতে পারে বলেে অনেকের ধারণা।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন এ ধরণের অভিযোগ আমার কাছে এখনও এসে পৌছায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।