নোয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি প্রবাসী মোশাররফ হোসেন উজ্জল (৩৫) দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ঢাকায় বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো: আবদুর রহীম জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিনামবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেহে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধা দেয়ার বিষয়টি সোমবার প্রকাশ পাওয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজছিল। নির্যাতিত নারীর বাবা বাদী হয়ে জামাতাকে আসামি করে মঙ্গলবার সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার সকাল থেকে উজ্জলকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পুলিশ। সে যাতে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিমান বন্দর ও স্থলবন্দরে তার পাসপোর্টের ছায়া কপি ও ছবি পাঠানো হয়।
গত ১ অক্টোবর দেশে ফেরার পর জেলা শহরের বছিরার দোকান এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন উজ্জল। বুধবার রাতে ওই বাসায় ছেলেকে বেঁধে রেখে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেন উজ্জল। এরপর সারা শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়া হয়। এ সময় স্ত্রী চিৎকার করলে ছেলের গলায় চুরি ধরে তাকে হত্যার হুমকিও দেন উজ্জল।
এক পর্যায়ে পালিয়ে বাবার বাড়িতে উঠেন স্ত্রী। সেখান থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালান উজ্জল। সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার সময় আবারো ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন উজ্জল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুধারাম থানার ওসি নবির হোসেন জানান, মামলায় নির্যাতিতার স্বামী মোশাররফ হোসেন উজ্জলকে একমাত্র আসামি করা হয়।