নিজ বাসায় উন্নত চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন আ.লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম।হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে এখন বিছানায় শুয়ে। অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না তিনি।শরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে ঘরবন্দি থাকলেও দূর্দিনে কেউ তার খোঁজ খবর রাখেনি। অর্থাভাবে অসহায় অবস্থায় দিনানিপাত করছেন তিনি ও তার পরিবার। গত রবিবার(২৩জুলাই) সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হলে তার পরিবার তাকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হয়নি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশকিছু নেতাকর্মি বলেন, শরিফুল একজন নির্লোভ রাজনৈতিক কর্মি ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন,সর্বদা জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে চলেছেন।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে ভালোবেসেছেন। নিজের জন্য কিছু করেননি। সৎভাবে জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে এই দুর্দিনে দলীয় কোন ব্যক্তি তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দুঃসময়ের কান্ডারি শরিফুল এর সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাকর্মীদের একান্ত দায়িত্ব বলে মনে করছেন তারা।
অসুস্থ শরিফুল ইসলাম বলেন, সুস্থতার জন্য আমার উন্নত চিকিৎসার দরকার। টাকার অভাবে বর্তমানে তা হচ্ছেনা।উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে নিয়ে ২২বছর যাবত আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনিতীর সাথে জড়িত।
অনেক আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থেকেছি।কখনো পিছু পা হয়নি।উপজেলা শহরের পাশেই বাসা হওয়ার কারনে আওয়ামী বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম আমরাই মিছিল মিটিংয়ে যোগ দিয়েছি। বিরোধীদের নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি অনেকবার। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারনে প্রতিপক্ষের অত্যাচারে ঘড়ছাড়াও হয়েছি।
এত কিছুর পরেও দলের থেকে তেমন কিছুই আমি আশা করিনি।আমি আজ অসুস্থ অবস্থায় দিনযাপন করছি।অসহায়ত্ব আমাকে ঘিরে ধরে আছে,কিন্তু আমার খোজ নিতে আসেনি আমার দলীয় কোনো নেতা।কেউ ফোন করে একটু খোজ নিলেও আমি হয়তো মানুষিকভাবে সাহস সঞ্চার করতে পারতাম।আমি নিজে কয়েকজনকে ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পায়নি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দার এবং পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন আমার খোজ নেওয়াতে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কেউ আমাকে মনে রাখুক বা নারাখুক,তবুও ভালো থাকুক প্রাণপ্রিয় সংগঠন”বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ”।