দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামে পাইরেসি করে কিছু অসাধু ডিস ব্যবসায়ী এখনো অনুমোদন ছাড়াই ডিস ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঠিক তেমনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাটের ‘ডটকম ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক’ এর স্বত্তাধিকারী মো: মকবুল হোসেন পাইরেসি করে অনুমোদনহীন সেট টপ বক্্র/ডিটিএইচ এর মাধ্যমে সনি, টেন স্পোর্স জি, এবং ডিসকোভারী গ্রুপের চ্যানেল সমূহ অবৈধ উপায়ে সার্ভার ও পাইরেসি করে স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল প্রদর্শন করে ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা যার ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় টিভি-২ শাখা বাংলাদেশ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আখতারুজ্জামান তালুকদারের স্বাক্ষরিত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ১৫,০০,০০০০,০২৪,১৮.০০১১.১-১৪০ নং স্মারকে অবৈধভাবে আমদানীকৃত অনুমোদনহীণ ডিটিএন, এসটিভি, আইপিটিভি, সেট টপ বক্স, টাটা স্কাই, সান ডাইরেক্ট, ভিডিও কন, এয়ার টেল, রেলিএন্স, ডিস টিভি সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় বা পাইরেসি করে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত স্যাটেলাইট টেলিভিশন পে-চ্যানেল সমূহের গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ প্রদর্শন করে বিদেশী পে টিভি চ্যানেল ডাউনলিংক বিতরণ ও প্রদর্শনের জন্য সরকারের নিকট থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর এর নিকট থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হয়ে অবৈধ পন্থায় বা পাইরেসী করে বিদেশী শে টিভি চ্যানেল ডাউনলিংক, বিতরণ ও প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার জন্য নির্দেশক্রমে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন রামপুরা, ঢাকাকে অনুলিপি প্রদান পূর্বক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ও পু: আ: অতিরিক্ত সচিব, মাঠ প্রশাসনকে পত্র প্রেরন করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইন ২০০৬ এর অধীনে প্রনীত “ক্যাবল টেলিভিশন লাইনের বিধিমালা ২০১০” এর পরিপন্থীর আলোতে ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ টেলিভিশন লাইসেন্স শাখা সদর দপ্তর, রামপুরা, ঢাকা থেকে মোঃ জুলফিকার রহমান কোরাইশী ‘কন্ট্রোলার/লাইসেন্স ম্যানেজার নং-টিভি- লাইসেন্স/প্রশাসন-২১৫/১২৩১ স্মারক মতে ২৮/০২/২০১৭ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪.০২.২০১৭ তারিখের নং-১৫.০০.০০০০.০২৪.১৮.০০১.১১-১৪০ সংখ্যক পত্র দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় বা পাইরেসি করে গ্রাহক পর্যায়ে উক্ত পে-চ্যানেলগুলো ডাউনলিংক বিতরণ ও প্রদর্শন করছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের প্রতিটা জেলার জেলা প্রশাসককে পত্র মারফত নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
মিডিয়া কেয়ার লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমিথ রেজার স্বাক্ষরিত সেট টপ বক্স/ ডিটিএইচ এর মাধ্যমে প্রদর্শিত পে-চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধ করে উক্ত ক্যাবল অপারেটর এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় টিভি-২ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ টেলিভিশন লাইসেন্স শাখা সদর দপ্তর, রামপুরা, ঢাকার আলোকে গত ২০ শে জুন ২০২২ তারিখে কবুরহাট, খাজানগরের ‘ডটকম ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক’ এর স্বত্তাধিকারী মোকবুল হোসেনকে অনুলিপি প্রদান করে কন্ট্রোলার/লাইসেন্স ম্যানেজার বাংলাদেশ টেলিভিশন সদর দপ্তর রামপুরা ঢাকাকে পত্র প্রেরন করেন। সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য সচিব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন, রামপুরা, ঢাকা, জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া, পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া, কোম্পানী কমান্ডার সিপিসি-০১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প র্যাব ১২ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানা কুষ্টিয়াকে পত্র প্রেরন করেন।
ইতিমধ্যে মিডিয়া কেয়ার লি: মাঠ পর্যায়ে সরজমিন পরিদর্শনে জানতে পেরেছে যে, উল্লেখিত সনি, টেন স্পোর্স জি, এবং ডিসকোভারী গ্রুপের জনপ্রিয় চ্যানেল সমূহ আপনার ক্যাবল নেটওয়ার্কে ভিন্ন উপায়ে (অবৈধ ভাবে) পরিবেশন করে যাচ্ছেন যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। মিডিয়া কেয়ার মোকবুল হোসেনকে আরো জানান যে, জনপ্রিয় চ্যানেল সমূহ অবৈধ উপায়ে পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করে বলেন, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আমাদের আইনের আশ্রয় নেওয়া ব্যতীত কোন উপায় থাকবে না। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিয়ে পত্র প্রেরন করেছেন বলে জানা গেছে। আজ ৬ মাস অতিবাহিত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আলামত পাওয়া যায়নি।
তবে এ বিষয়টি নিয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে দহকুলা বাজারের উপর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে। এই মুহুর্তে অবৈধ ডিস ব্যবসায়ী মোকবুলের পাইরেসি মাধ্যমে ব্যবসা বন্দ না করতে পারলে আরো বড় ধরনের সংঘর্ষ বাধাঁর আশংখ্যা করছে এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই।