বাগেরহাট থেকে বিশেষ প্রতিনিধি আজাদ রুহুল আমিন।এরশাদ ছিলেন বাংলাদেশের পল্লীবন্ধু হিসেবেই অধিক পরিচিত।তিনি তার শাষন আমলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরন হিসেবেই সারাদেশে উপজেলা পদ্ধতির প্রশাসনিক ক্ষমতা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলায় আদালত ব্যাবস্থা চালু করে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর দ্বোর গোড়ায় আইনের শাষন পৌছে দেন।এবং এ সময়ে অনেক মহাকুমাকে তিনি জেলায় রুপান্তর করে সাধারন মানুষের ভোগান্তি দূর করেন।বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, এরশাদ সাধারন মানুষের কাতারে কাদে কাধ রেখে নিরলস দেশের জন্য কাজ করেছেন।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যাকবলিত মানুষকে তিনি কাউকে অভুক্ত রাখেন নি।এসময়ে বিদেশি সাহায্যের কথা না ভেবে তার দল ও সরকার মিলে সেই সময়কার নজীরবিহীন ইতিহাসের কালো অধ্যায় ঘুর্নিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের খাবার,বাসস্থান, চিকিতসা,পথ্য, নগদ অর্থ প্রদান করে মোকাবেলা করেন দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষকে।সেই সাথে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন।জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি তরুন যুবসংহতি নেতা রাহুল দেব বলেন,রাষ্ট্রপতি এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছর শাসন আমলে অবহেলিত গ্রামীন জনপদে ব্যাপক উন্নয়ন মুখি কাজ করেছেন।
সড়ক কার্লভাট সেতু স্কুল কলেজ মাদ্রাসা হাস্পাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রসুতি মায়ের সেবায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ নানামুখী সংস্কার ও নতুন নতুন কার্যসুচী সম্পাদন করেন।১৯৮৪ সালে আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদ বাগেরহাটকে জেলায় রুপান্তর করে জেলাব্যাপী অনেক উন্নয়ন মুলক স্থাপনা সহ আধুনিক বাগেরহাট যা একটি মডেলে পরিনত করেন।এরশাদ এমন একজন দেশদরদী মানুষ যিনি সবসমই দেশের ও দেশের মানুষের খাদ্য বস্ত্র,বাসুস্থান,বেকারত্বের অভিশাপ থেকে যুব সমাজকে মাদক মুক্ত এবং কর্মসংস্থানে শিল্প কলকারখানা ইন্ডাস্ট্রি সমান হারে গড়ে তুলেন।
এরশাদের তৃতীয় তিরোধান দিবস উপলক্ষে বাগেরহাট নিউমার্কেট দলীয় কার্যালয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্ব অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টিরি স্বংগ্রামী তেজস্বী নেতে সাধারন সম্পাদক হাজরা শহিদুল ইসলাম,জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি প্রতিবাদি কন্ঠস্ব্রর জনাব হাওলাদার রুহুল আমিন প্রমুখ।মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জেলার বাইরে থেকে দল ও তার অংগ সংগঠনের বিপুল পরিমান নেতা কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারন করে মৌন মিছিল সহকারে আলোচনা সভাটি প্রানবন্ত করে তোলে।