নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভের আগুন ক্রমেই বেড়ে চলেছে ভারতে। আইন বাতিলের দাবিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। আসামে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬ জন মারা গেছেন। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছে বিজেপি।
বিক্ষোভের আগুন ক্রমেই বেড়ে চলেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। কারফিউ উপেক্ষা করে আসামের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ হয়। আইন বাতিলের দাবিতে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের জেরে বাতিল করা হয় গুয়াহাটি বিমানবন্দরের বেশ কিছু ফ্লাইট। তবে আসামের সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিতের দাবি করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল।
রাজ্যসভায় পাসের আগে বিলে সমর্থন দেয়া অসম গণপরিষদ ভোল পাল্টে এবার আইনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে দলটি। শনিবার দলের এক জরুরি বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে সহিংস আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, হাওড়া, চব্বিশ পরগনাসহ বিভিন্ন জেলায়। গণপরিবহনে আগুন দেয়ার পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের অস্থিরতার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছে বিজেপি। দলটির অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে বলা হয়, মমতা যেদিন থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সেদিন থেকেই জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়েছে রাজ্যে।
রাজনৈতিক দলগুলো পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুললেও চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে একসূরে কথা বলছেন বেশিরভাগ নেতা-নেত্রী।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা করবেন না। কোনো উস্কানিতে নিজেদের খুনি প্রতিপন্ন করবেন না। হামলাকারী প্রতিপন্ন করবেন না।
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, হিন্দু বলেন আর মুসলমান বলেন, ভারতবর্ষের যারা প্রকৃত নাগরিক এ দেশ তাদের। আমরা হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে এদেশ করেছি। আজও আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে দেশকে রক্ষা করছি।
বিক্ষোভ অব্যাহত আছে নয়াদিল্লি, মহারাষ্ট্রেও।
আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বলিউড তারকারাও।
বলিউড তারকারা বলছেন, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে নয় আমরা আসামের নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। ইতোমধ্যে অনেক অবৈধ অভিবাসী আমাদের এখানে আছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অঞ্চলে বিদেশিদের ঠেলে দিচ্ছে।