বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই দেশ কিংবা দেশের বাইরে থাকলেও যোগাযোগ কিন্তু থাকেই বন্ধুদের সাথে।
আর যারা নিজ এলাকাতে কিংবা দেশের মধ্যেই কর্মব্যস্ত থাকে তারাও কিন্তু মিলিত হয় একত্রে। সেটা হতে পারে হঠাৎ কিংবা নির্দিষ্ট একটা সময়ে।
বন্ধুরা ছিল, আছে এবং থাকবে।
বন্ধুত্বের বন্ধন সবসময়ই দৃঢ় ও মজবুত থাকে এটাই প্রমাণ করলেন মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি), মেহেরপুরের ঐতিহাসিক ভাটপাড়া নীলকুঠিতে (ডিসি ইকোপার্ক) হয়ে গেল গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯৭ ব্যাচের পুনর্মিলনী মেলা।
গত কয়েকদিন ধরেই বন্ধু ৯৭ পুনর্মিলনী মেলা নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা শেষে সকলেই মিলিত হলেন একত্রে।
গতরাত থেকেই নানা প্রস্তুতি ছিল পুনর্মিলনী মেলা নিয়ে। সকাল হবার সাথে সাথেই পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী মিলিত হলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঐতিহাসিক ভাটপাড়া নীলকুঠিতে যেটি বর্তমানে ডিসি ইকোপার্ক নামে পরিচিত। শুরু হলো রান্নাবান্না, নাচ-গান, পরিচিতি পর্ব, আবৃত্তি, খাওয়া-দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আড্ডাসহ মহা আয়োজনে বেশ জমে ওঠে মিলনমেলা।
গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ সালের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুদের প্রায় সকলেই এ মিলনমেলাতে অংশ গ্রহণ করেন।
বন্ধু ৯৭ মিলনমেলা আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিলনমেলা কে নিয়ে বড় ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতার কারণে তা সংখিপ্ত করা হয়েছে।
তারপরও কমতি ছিল না আয়োজনের। সবাই আনন্দে মেতেছে, একত্রিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্হানে কর্মজীবনের ফাঁকে।
তবে দেশ ও বিদেশের অনেক বন্ধুই চোখের জল ফেলেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন মিলনমেলায় মিলিত হতে না পারায়।
উল্লেখ্য, করোনা কালীন সময়ে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে হলেও আয়োজনের কোন কমতি না থাকায় গাংনী/মেহেরপুরের বাইরে থেকে আসা বন্ধুরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ছিলোনা গানবাজনা পর্ব।
সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল অবধি চলে মিলনমেলার এ আয়োজন।
পরিশেষে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং আবারও সবাই মিলিত হবার প্রত্যাশায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।