ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডুতে মহানবী (সঃ) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে জনতা। এই ঘটনায় থানায় বাদি হয়ে মামলা করেছেন হরিণাকুণ্ডু ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাঃ তৈয়বুর রহমান। শনিবার(১৭সেপ্টেম্বর) দন্ডবিধির
২৯৫-ক,১৫৩-ক,৫০০ ধারায় এই মামলা লিপিবদ্ধ হয় থানায়।
জানাগেছে, হরিণাকুণ্ডু থানার নারায়ণকান্দি গ্রামের মৃত ইউসুফের ছেলে হাসান মেহেদী নামের এক যুবক বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকার কোন পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।হরিণাকুণ্ডুর এক যুবকের ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে নিজের এই মন্তব্যে মহানবী (সঃ)কে চরিত্রহীন হিসাবে বিদ্বেষ ছড়ান। এই মন্তব্যের পরে অনেকেই এটা ভুল বশতঃ কিনা জানতে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি নিজের বক্তব্য জেনে বুঝেই করেছেন এবং এই মন্তব্য ডিলিট করবেন না বলে জানান। শুক্রবার এই মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম হিতৈষিদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার বিকালে হরিণাকুণ্ডুর দোয়েল চত্বরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয় মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে। শনিবার দুপুরে শৈলকুপা-হরিণাকুন্ডু সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মণ হরিণাকুণ্ডুতে যেয়ে উত্তেজিত জনতার সাথে কথা বলে মামলা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে ৩ দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে উত্তেজিত জনতা। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে বলেন, দ্রুত এই হাসান মেহেদীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই হাসান মেহেদীর ভাতিজা ২০১২ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব বাতিল করেন। হাসান মেহেদীসহ কিছু লোক হরিণাকুণ্ডুতে আলাদা একটি ধর্ম পালন করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন সহিংস ঘটনা না ঘটে সেই দিকে সতর্ক অবস্থা রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।