কুষ্টিয়ার বহুল আলোচিত ঐতুব কেমিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে করিম খোকার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্থানীয় হাসিব খান নামের এক যুবক। গত ৪ জানুয়ারী কুষ্টিয়া থানায় হাজির হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন ঐ ভুক্তভোগী যার নং ২৭১। সাধারণ ডায়েরির বরাত দিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে ফজলে করিম (৬৮) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। সবশেষ গত ৩ জানুয়ারী আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টার সময় মহাশ্মশান রোডের মাঠে যাত্রাকালে ভুক্তভোগীর পিতা মাসুদ খাঁর হত্যা মামলা তুলে নেবার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদর্শন ও প্রাননাশের কথা বলে। তাছাড়া অভিযুক্ত থোকা প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে ভুক্তভোগীর পিতা হত্যার বিচারাধীন মামালা নিয়ে মিথ্যা কথা প্রচার করা সহ ভুক্তভোগীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর কথা বলে থাকেন। যার কারণে ভুক্তভোগী আতংকে দিন পার করছে।
আরো জানা যায়, গত ২৭ জুন কুষ্টিয়ার আলোচিত মাসুদ খাঁ হত্যাকাণ্ডে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর লাবলু সহ রঞ্জু হোসেন, মাসুদ রানা, দীন ইসলাম ও রাসেল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। হত্যাকাণ্ডের এই ৫ আসামি অভিযুক্ত খোকার আস্থাভাজন। এজন্য বিভিন্ন সময় তাদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে খোকার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গত ০৫ মে ২০২২ ইং তারিখ ভোর ৫.০০ ঘটিকার সময় ১-৫ নং আসামি মাসুদ খাঁর বাড়ীর সামনে তার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকলে মাসুদ ও তার স্ত্রী এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে উপরে উল্লেখিত আসামিগন সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন আসামি জরুরি কথা বলার জন্য মাসুদ খাঁকে তাদের সাথে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সারাদিন মাসুদ বাড়ী ফিরে না আসায় তার স্ত্রী সহ পরিবারের অনান্য সদস্যরা উল্লেখিত আসামিদের বাড়িতে সহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও মাসুদের কোন সন্ধান না পেয়ে চিন্তায় পরে যান। তাছাড়া মাসুদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বর্তমানে মামলাটি আদালতের বিচারাধীন ও কুষ্টিয়া সি.আই.ডি কর্তৃক তদন্তাধীন রয়েছে। উক্ত মামলার ৫জন আসামী বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছে। এই মামলার স্বাক্ষী ও নিহতের সন্তান এবং ‘জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা প্রত্রিকার’ স্টাফ রিপোর্টার “মোঃ হাসিব খান” বলেন যে, আমার পিতার হত্যাকান্ড নিয়ে ফজলে করিম বিভিন্ন সময় অপ্রিতিকর কথাবার্তা বলা ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। আমার পরিবার মনে করে যে, এই হত্যাকান্ডের ব্যপারে ফজলে করিমের যোগসুত্রতা রয়েছে। আমরা আমাদের জীবনশঙ্খায় আছি। আমি কুষ্টিয়া’র সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহাদয় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, আমারা যেন নিরপত্তার সকল বিধি ব্যববস্থা পায়।