মেহেরপুরের গাংনী শহরের বাস স্ট্যান্ডে একই স্থানে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের বিজয় দিবসের কর্মসুচী আয়োজন নিয়ে উত্তেজনা। ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একই স্থানে গাংনী উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ সভা আহবান করায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রবিবার দুপুর ১২ টায় গাংনী বাজারে পতাকা ষ্ট্যান্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে পৌর ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও শ্লোগান দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় গাংনীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজনার সময় গাংনী বাসষ্টান্ড এলকায় বেশ কয়েকটি দোকন বন্ধ হয়ে যায়।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন,দীর্ঘ দিন যাবৎ গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগ বাসষ্ট্যান্ড রেজাউল চত্তরে পতাকা উত্তোলন ও বিজয় দিবসের কর্মসূচী পালন করে আসছে। এ কর্মসূচীতে বাধা দিতে হঠাৎ পৌর আওয়ামীলীগের নামে বাসষ্ট্যান্ডে পতাকা ষ্ট্যান্ড স্থাপন করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগ শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালনে বাধা দেয়া হলে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তার জবাব দেবে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন,এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন আওয়ামীলীগ ও ৯টি সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে একক ভাবে কর্মসূচী পালনের চেষ্টা করে।
সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে গাংনী বাজার বাসষ্ট্যান্ডে পতাকা স্থাপনকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিজয় দিবসকে ঘিরে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অশুভ চক্র পরিকল্পিত ভাবে শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছে। এদিকে পৌর আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা শ্লোগান দিতে দিতে যুবলীগ অফিসের সামনে অবস্থান নিলেও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা বাসষ্টান্ড চত্ত্বরে বেশ কয়েকবার মিছিল করে স্থান ত্যাগ করে।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান বলেন,একই সময়ে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পৌর আওয়ামীলীগ মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচী আহ্বান করেন। কর্মসূচী বাস্তবায়নে গাংনী বাজার বাসষ্টানে উভয় পক্ষ পতাকা ষ্ট্যান্ড স্থাপন করলে উত্তেজনার সৃষ্ট হয়। বর্তমানের উভয় পক্ষকে বাসষ্ট্যান্ড থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত । অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে গাংনী বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।