মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মৃত খবির মালিথার ছেলে নিহাজ উদ্দীন, বাবর আলী, রমজান আলী, কামাল ও জামালের বিরুদ্ধে।
হিজুলী গ্রামের মৃত খবির মালিথার অপর ছেলে সবজান আলী এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, হিজুলী মোজার আর এস-২৫৯, ৩৮৯ ও ৩৮৭ খতিয়ানের আর এস-২০৪২, ২০৪৩ ও ২০৩৯ দাগে যথাক্রমে ০.০১ একর, ০.০৮ একর ও ০.০১ একর মোট ০.১০ একর জমি ২৭/০৬/১৯৯৫ তারিখে ৬২৭৮ দলিলমূলে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করছি। আমার ভাই নিহাজ, বাবর, রমজান, কামাল ও জামালসহ তাদের বউ ও ছেলেরা মিলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তা জবরদখলে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিবাদীদের আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার কথা লিখিত ও জমি আমার বলে প্রমাণিত হলেও তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করছেন। এমনকি আমার বাড়ির আঙ্গিনায় গোসলখানা, পায়খানার বেড়া নিহাজ উদ্দীন তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ভেঙে দিয়েছেন। একইসাথে আমাকে বাড়ির বাইরে যাবার পথে বাধাগ্রস্ত করছেন। উক্ত জমির ২ শতক তাদের নামে রেজিস্ট্রার করে না দিলে তারা আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। এমতবস্থায় আমি, আমার মেয়ে ও পরিবারবর্গ নিয়ে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার বাড়ির বেড়া ও গাছপালা ভেঙে দেওয়ার কারণে গোসল, পায়খানা নিয়েও সমস্যায় রয়েছি। কারণ বেড়া ভেঙে দেওয়ায় পুরো বাড়ি ফাঁকা হয়ে পড়েছে। গত ৩ দিন পূর্বে তারা দু’জন আমীন নিয়ে এসে জোরজুলুম করে জমির মাপযোগ করে দেশীয় অস্ত্র লাঠি, ফলা, রামদা নিয়ে আমার বেড়া ভেঙে দেয়। এমতাবস্থায় আমার জমি জোরপূর্বক দখলমুক্ত করতে এবং জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনি সহায়তা কামনা করছি। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
জোরপূর্বক গোসলখানা, পায়খানা ও বাড়ির আঙ্গিনার বেড়া ভেঙে দেওয়ায় বিষয়ে নিহাজ উদ্দীন কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তা স্বীকার করেন। কেন বেড়া খুঁটি ভেঙেছেন, এটা আইনসংগত কিনা এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেনি। বরং এমন প্রশ্ন করলে নিহাজ উদ্দীন তার ভাইয়ের ছেলে লিটন সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। এসময় প্রতিপক্ষের কাছে টাকা খেয়ে এসেছেন এমন অভিযোগও করেন নিহাজ উদ্দীনের স্ত্রী।
জমি মাপ যোগের জন্য দিঘলকান্দীর মুসাদ ও হিজুলীর উজ্জল কে নিয়ে এসে সেখানে জমি ভাগবাটোয়ারায় ৬ ভাইকে সমভাবে বন্টন না করে নিহাজ উদ্দীন কে ১৩ শতক এবং অন্যান্যদের ১০ শতকেরও কম পাবে বলে।
সে অনুযায়ী সবজান আলী কে সহজ সরল পেয়ে তারা সকলে মিলে তার জমি জোরপূর্বক দখল করতে চাই। অন্যথায় তারা সবজান আলী কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও বাড়ি থেকে বের হতে দেবেনা বলে জানায়।
এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আটক পূর্বক শাস্তির দাবি জানান ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।