১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা হতে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত করোনার ২য় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশে চলছে সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন।
মেহেরপুরের গণমাধ্যম কর্মীরা লকডাউন নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ করছেন এবং টেলিভিশন ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল), লকডাউন এর ২য় দিনের ভিডিও চিত্র ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ব্যস্ততম শহর বামুন্দিতে যান দৈনিক এবিসি ন্যাশনাল নিউজ ও জিএসএস নিউজ টিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মাজিদ আল মামুন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য ভিডিও চিত্র ধারণের সময় বিকেল ৫ টার দিকে বামুন্দি বাজারের কথিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম সহ ৫/৬ জনের একটি দল ভিডিও ধারণে বাধা দান করে। প্রতিবাদ করা হলে সাংবাদিক মাজিদ আল মামুনের ট্রাইপড ও মাইক্রোফোন ভাংচুর করা হয় এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এসময় সাংবাদিক মামুন কে গালিগালাজসহ মৃত্যু হুমকি দেওয়া হয়। বামুন্দির ভীতি সৃষ্টিকারী শামীম ও তার সহযোগী কয়েকজন বামুন্দিতে নিউজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে। শামীম বলেন, বামুন্দি শহরে নিউজ করতে হলে নাকি তার অনুমতি লাগে। তার অনুমতি ছাড়া নিউজ করলে পরিনতি ভয়ানক হবে বলে জানান। অবশেষে ভিডিও চিত্র ডিলেট করতে বাধ্য করা সাপেক্ষে মামুনের মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া হয়।
নেতা শামীম সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে বামুন্দি বাজারের কেউ মুখ খুলতে নারাজ এবং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য জানানো হয়। তার ভয়ে নাকি বাজারের কেউ মুখ খোলেনা বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনক ব্যক্তি জানান।
ঘটনা সম্পর্কে গাংনী প্রেসক্লাবে জানানো হলে, সাংবাদিক মামুন প্রেসক্লাবের সদস্য না হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ কোনো পরামর্শ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এব্যাপারে গাংনী থানায় ইনফর্ম করতে চাইলে কয়েকজনের অনুরোধে তা করা হয়নি। মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল কে বিষয়টি জানানো হলে, তিনি ঢাকা আছেন এবং শামীম কাউন্সিলর জুয়েলের লোক বলে জানান।
বামুন্দি বাজারের লোকজনের অনেকেই সুবিধাজনক নয় এ বিষয় নিয়ে শামীমকে ডাকা হলে সর্বোচ্চ হাত ধরে ক্ষমা চাইবে ভুল হয়েছে বলে। তাই মানইজ্জত গুছিয়ে কোনো ব্যবস্হা না নেওয়ার আহবান জানান শহরের বাচ্চু মোল্লা।