মেহেরপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন পালন ও দোয়া প্রার্থনা করেছেন জেলা জাতীয় কৃষক পার্টি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাপার পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলায় জেলায় নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুর জেলা জাতীয় কৃষক পার্টি কেক কেটে জন্মদিন পালন ও দোয়া প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় কৃষকপার্টির আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আনছারুল ইসলাম, মোঃ নাজমুল হোসাইন, মোছাঃ আছমা খাতুন।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা ও সার্বিক পরিচালনা করেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় কৃষকপার্টির সদস্যসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জান বলেন জাতীয়পার্টির অন্যতম সহযোগী সংগঠন জাতীয় কৃষকপার্টি। আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমাদের মাঝে নেয় তবে তিনি দেশের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন যার সুফল বাংলার জনগন এখনও পাচ্ছে।
সদস্যসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার রুপকার। আজ তাঁর জন্মদিন। কে বলেছে এরশাদ বেঁচে নেয়, তিনি আছেন আমার আপনার ১৮ কোটি মানুষের মাঝে। দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলে এরশাদ যা কিছু করে গেছেন তার মাঝে আজিবন বেঁচে থাকবেন তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান নেতা শেখ মজিবুর রহমানের বেশিরভাগ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছিল জাতীয়পার্টির নয় বছরের শাসনামলে এরশাদ সরকারের হাত ধরে। আর এই কারনেই তিনি ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার রুপকার।
সত্য কথা আজ মানুষ শুনতে চায়না। তিনি জোর করে ক্ষমতায় আসেননি। ইতিহাস থেকে জানা যায় তত্যাবধায়ক সরকার সাওার সাহেবের অনুরোধে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। এরশাদ কখনই সৈরাচার ছিলেন না। তিনি কি ছিলেন মানুষ তা মর্মেমর্মে টের পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে নাজমুল হোসাইন সহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
পল্লীবন্ধু খ্যাত মহান এই নেতা ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ ভারতের কুচবিহারের দিনহাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ৯ বছরের শাসনামলে তিনি অসংখ্যা ভালো কাজ ও উন্নয়ন করে গেছেন। যার সুফল বাংলাদেশের মানুষ এখনও ভোগ করছেন।