রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো শব্দের চেয়ে ২৭ গুণ দ্রুতগতির আন্তঃমহাদেশীয় অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ‘অ্যাভানগার্ড’ নামের রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্র গতকাল শুক্রবার মোতায়েন করেছে দেশটি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু। এ ঘটনাকে ঐতিহাসিক অভিহিত করে তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ক্ষেপণাস্ত্র বহরের প্রথম ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আন্তঃমহাদেশীয় হাইপারসনিক ‘অ্যাভানগার্ড’ রাডার ফাঁকি এবং দুই মেগাটন পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ইউনিটটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উরাল পর্বতশ্রেণির ওরেনবার্গ অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্সেসের প্রধান সেরগেই কারাকায়েভ।
এর আগে ২০১৮ সালের মার্চে ‘অ্যাভানগার্ড’ ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টি সামনে এনে পুতিন বলেছিলেন, রাডার ফাঁকি দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে গতিপথে তীক্ষ্ণ পরিবর্তন করে উল্কার গতিতে আঘাত হানবে এ ক্ষেপণাস্ত্র।
ওই বছরের ডিসেম্বরে উরাল পর্বতশ্রেণির দম্বারোস্কি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়। এটি প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার দূরের কামচাতকার কুরা শুটিং রেঞ্জের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিজেদের সেনাবাহিনীতে একই ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন। চীন-রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে অস্বস্তিতে থাকা নতুন সামরিক কৌশলের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বিশ্বের ক্ষমতাধর অন্য পরাশক্তিগুলোরও রীতিমতো ঘুম হারাম করে দিয়েছে রাশিয়ার হাইপারসনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র।