ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অতি গোপনিয়তা ও ঘুষবানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।স্কুল কমিটির তিনজন অভিভাবক সদস্য জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।জেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, দুইদিন আগে ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগের চিঠি প্রদান করা হয়েছে।বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান,ডিজি প্রতিনিধির চিঠি পেয়েছি তবে কাকে প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সেটা জানিনা।আমি চিঠি খুলে দেখিনি,চিঠি নিয়ে এসে সভাপতির কাছে দিয়ে দিয়েছি। কবে এবং কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেটাও আমার জানা নেই। কত জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে সেটা জানাতেও অনীহা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সকল তথ্য সভাপতির কাছে পাবেন,আমি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জানিনা,এবং নিয়োগের বিষয়ে কোন মিটিংও হয়নি বলে তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের নির্বাচিত দুই জন শিক্ষক প্রতিনিধিদের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে,তারা প্রথমে খুবই অবাক হয়।তিনি স্পষ্ঠ ভাষায় জবাব দেন বিষয়টা তাদের পুরোপুরি অজানা। এ পর্যন্ত ৩ বার নতুন কমিটির মিটিং হয়েছে যেখানে নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।এদিকে বিদ্যালয়ের তিনজন অভিভাবক সদস্যের দাবি,সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।এখানে জন প্রতি ১৪ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে।তথ্য বলছে, বিদ্যালয়ের বর্তমান অফিস সহকারী ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে তার পোস্ট বিক্রি করে দিয়েছে । দুইবছর পরে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও সে টাকার বিনিময়ে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে এবং চাকরিতে বহাল থাকা অবস্থাতেই তার পদ শুন্য দেখিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলেও সন্দেহ এলাকাবাসীর। বুধবার ১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ বিকালে,ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতি অহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,এখনও সার্কুলার হনি। আমি নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানিনা। দুর্ণীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান এখনও নিয়োগের কিছুই করা হয়নি। যারা এমন অভি্যোগ করেছে তাদেরকে এই বিষয়ে প্রমান করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তাঁরা ।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন,আমি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।যদি কিছু জানার থাকে তবে তথ্য অধিকার ফর্মে আবেদন করুন।ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছি বলে আমাকে দলীয় লোকজন চাপ প্রয়োগ করছে।তিনি আরো বলেন সাংবাদিকের সেইসব প্রতিষ্ঠান যায়না যেখানকার সভাপতি ক্ষমতাশালী, এরা শুধু জায়গা বিশেষ যায়।তবে বর্তমানে সকল প্রতিষ্ঠানেই এমন টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হচ্ছে বলে তিনি জানান।