নিখোঁজের ৪ দিন পর কুষ্টিয়ার গড়াই নদী থেকে উদ্ধার করা সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় নিহতের মরদেহ কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে জানাযা শেষে দাফন করা হয়। জানাযা এবং দাফনে সাংবাদিক সহকর্মী, স্বজনসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।
পরে পৌর গোরস্থানের সামনে থেকে সাংবাদিকরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ রাস্তায় টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।এতে জেলার সর্বস্তরের গনমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
এসময় সাংবাদিক নেতারা রুবেল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে কুষ্টিয়ার প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টেমেটাম দেন এবং কুষ্টিয়ার প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনেই আজ এই হত্যাকান্ড হয়েছে বল্লেও জানান তারা। উপস্থিত সাংবাদিকেরা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলমের প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করলে
পরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতিকুর রহমান সাংবাদিক নেতাদের দাবির সাথে সহমত জানিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রুবেল হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের গ্রেফতারের আশ্বাস জানালে বিক্ষোভ সমাবেশ আপাতত সপাপ্তি ঘোষনা করেন সাংবাদিক নেতারা।
এদিকে রুবেল হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। উল্লেখ্য, গত (৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড় তার পত্রিকা অফিসে থাকা অবস্থায় তার মোবাইলে একটি কল এলে এসময় তার অফিস পিয়নকে বাইরে থেকে আসছি বলে বের হন সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের ৫ দিন পর ৭ জুলাই গড়াই নদী থেকে উদ্ধার করা হয় সাংবাদিক রুবেলে মরদেহ। হাসিবুর রহমান রুবেল কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।