টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এসএসসি পরিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর প্রভাবশালী মহল। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজে’লার হাটুভাঙ্গা এলাকায় এই ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পার হয়েছে পাঁচ দিন। তবে ভু’ক্তভোগীর পরিবার থানায় এ নিয়ে কোন অভিযোগ না দিলেও ঘটনার সংবাদ পেয়ে বি’ষয়টি দেওহাটা ফাঁড়ি ই’নচার্জ রফিকুল ইসলামকে ত’দন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মির্জাপুর থানার ওসি সায়েদুর রহমান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজে’লার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল, চিতেশ্বরী ও হাটুভাঙ্গা বাজার এলাকার সোহান সিকদার, রাকিব সিকদার ও জসিম নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নে’শা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণ করে।
এতে মেয়েটি র’ক্তাক্ত আ’হত হয়ে অ’চেতন হয়ে পড়লে তাকে রেখে পালিয়ে যায় ধ’র্ষকরা। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে উ’দ্ধার করে মির্জাপুরে চিকিৎসা দিতে না পেরে পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জে’লার কালিয়াকৈর উপজে’লায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। মেয়েটি বর্তমানে কালিয়াকৈর তার মামার বাড়িতেই অবস্থান করছে বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মেয়েটির বাবা মুঠোফোনে ঘটনার বর্ণনা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বাড়িতে গেলে অদৃশ্য কারণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি তিনি। তবে মেয়েটির মা জানায়, প্রয়োজন হলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। সেখানে মেয়েটির পরিবারের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, ধ’র্ষকদের পরিবার অনেক ক্ষমতাবান। হাটুভাঙ্গা বাজারের অধিকাংশ দোকানের জায়গার মালিক তারা।
যদি এনিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয় তবে পথে বসতে হবে তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধ’র্ষিতার চাচা জানায়, ঘটনাটি নিয়ে তার ভাই খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছে। ধ’র্ষকের পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশের কাছেও যেতে ভয় পাচ্ছেন। চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বি’ষয়টি আপোষ-মিমাংসা করার জন্য।
এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার ( মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ জানান, এ ধরনের ঘটনায় ভু’ক্তভোগীর পরিবার যদি কোন অভিযোগ না দেয় তবে পুলিশের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন। সত্যিই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বি’ষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ভু’ক্তভোগীর পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।