গত ১৮/১১/২৩ তারিখে পাবনার চাটমোহর এলাকার গরিব দিনমজুর আসলাম হোসেনের লাশ পাওয়া যায় ঝিনাইদহের বহরমপুর গ্রামের এক কলাবাগান-বেগুন ক্ষেতে।
শাবলের আঘাতে জর্জরিত আসলামের পরিচয় নিশ্চিত করা যায় তার পকেটে প্রাপ্ত বাটন মোবাইল ফোনের সিমের মাধ্যমে।
এছাড়া তার পকেটে পাওয়া যায় শৈলকুপা নিবাসী নাজমা বেগম নামক এক নারীর এনআইডি কার্ড।
সেই নারীকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায় প্রাইম সাসপেক্ট সোহেল রানার নাম।
কিন্তু লোকটি ভাসমান এবং কোন ছবি কারো কাছে নেই। ছবি ছাড়া ভাসমান এই সাসপেক্টকে ধরা অত্যন্ত কষ্টকর।
হঠাৎ করেই ঝিনাইদহ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান এর মাথায় আসে স্কেচ বানাবার আইডিয়া।
ওসি ঝিনাইদহ মো: শাহীনের বন্ধু আর্টিস্ট মামুন হোসাইনকে দিয়ে নাজমা বেগমের বর্ণনামতে বানিয়ে ফেললেন সোহেল রানার স্কেচ।
এই স্কেচ ফটোগ্রাফের সহায়তায় ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ মানিকগঞ্জ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গত ৫/১২/২৩ তারিখে মানিকগঞ্জ থেকে আসামি মো: সোহেল রানাকে গ্রেফতার করতে
সক্ষম হয়।
সোহেল রানা তার স্বীকারোক্তিতে অপরাধের দায় স্বীকার পূর্বক জানায় যে
নাজমা বেগমের সাথে শত্রুতা ও মনমালিন্যের জের ধরে তাকে ফাঁসাতেই নাজমার এনআইডি কার্ড গোবেচারা দিন মজুর আসলাম হোসেনকে হত্যা পূর্বক তার পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।
পুলিশ সোহেল রানাকে তার স্কেচ দেখালে সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে আমার ছবি বানাইসেন কেমনে