ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর গত রবিবার(৯অক্টোবর) দুপুরে মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে হাফিজুর নামের এক যুবকের পলিথিনে মোড়া গলা কাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ।উদ্ধারের ২দিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(১১অক্টোবর) দুপুরে হরিণাকুণ্ডু থানায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত বর্মণ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান,
হরিণাকুণ্ডু উপজেলাধীন রিশখালী গ্রামের হাফিজুর রহমান গত বুধবার(৫অক্টোবর) নিখোজের পর তার ছোট ভাই জাফিরুল ইসলাম শুক্রবার(৭অক্টোবর) থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের আলমগির নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানা পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শনিবার(৯অক্টোবর) মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে কেষ্টপুর চরের মাঠের খালের ধার থেকে হাফিজুর রহমানের গলাকাটা পলিথিনে পেঁচানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় জাহিদ নামের আরেকজনকে পুলিশ আটক করেন।তাদের দেওয়া তথ্য মনে জানাযায়,পূর্ব শত্রুতার জেরেই এই খুন সংঘটিত হয়েছে।নিখোজের দিনই আনুমানিক রাত ১১টাই দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।অটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে গত সোমবার(১০অক্টোবর) হত্যায় ব্যবহৃত দা,কোদাল,জিআই তার,পলিথিন,ঘটনাস্থলের রক্তমাখা মাটি,ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১৪ জনের নামে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।এখন পযর্ন্ত দুই জনকে আটক করা হয়েছে।বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে