ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাট বাজার গুলোতে কমেনি সয়াবিন তেলের দাম। যেখানে বিশ্ববাজারে তেলের কমাই বাংলাদেশ সরকার সয়াবিন তেলের বোতলজাত করেন ১৪ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন সত্য। তবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে এখনো বাজারে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল। এলাকাবাসী বলছে যে কোনও জিনিসের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঈদের মতো খুশী মনে হয় কিন্তু যখন দাম কমে তখন দোকানীদের মনেই থাকে না।
হরিণাকুণ্ডু বাজারে তেল কিনতে আসা এক ক্রেতা দৈনিক দেশের কন্ঠ প্রতিনিধিকে জানান,সংবাদে দেখলাম তেলের দাম কমেছে কিন্তু বাজারে এসে তা তো পাচ্ছি না।
হরিণাকুণ্ডু বাজারের তেল বিক্রেতা মেসার্স ঘোষ ব্রাদার্স ২০০ টাকা,মেসার্স রতন ষ্টোর ১৯৭ টাকা লিটার,(বোতল) এবং উপজেলার হঠাৎ পাড়া গ্রামের অশিত খুচরা তেল বিক্রেতা ১৯৭ টাকা দরে খোলা তেল বিক্রয় করছে। সম্প্রতি সরকার বোতলজাত তেলের দাম ১৮৫ টাকা করে লিটার নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারি দোকান
গুলোতে এখনো আগের দামেই সয়াবিন তেল বিক্রয় দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে মেসার্স রতন ষ্টোরের মালিক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,আমি জানতাম তেলের দাম বাজার কমে গেছে। তারপর ও বেশী দামে বিক্রয় করা আমার ভূল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে ঘোষ ব্রাদার্স এর কিরোন কুমার জানান,কোম্পানি
গুলো এখন পর্যন্ত নতুন মূল্যের সেই তেল আমাদের সরবরাহ করে নি। এ কারণে আগের দামেই কেনা সয়াবিন তেল আমরা বিক্রয় করছি তার দাবি।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানান,কেউ যদি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বিক্রি করে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হবে