প্রেম মানে না জাত-বেজাত, আর ঘুম মানে না ভাঙ্গা খাট এ প্রবাদ বাক্যটি বাস্তবে রূপ দিতে হরিনাকুণ্ডু থেকে ঘর বাঁধার আশায় পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করেছে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ।
প্রেমের টানে ঘর থেকে বের হয়ে কুষ্টিয়া নোটারী পাবলিক এ নথিভূক্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত ঘর বাঁধা হলো না প্রেমিক যুগল পাভেল ও অর্পিতার।
জানাযায়, হরিনাকুণ্ডু পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের চিথলিয়া-পাড়ার ইন্দ্রজিৎ ওরফে মনোরঞ্জন হালদারের মেয়ে অর্পিতা হালদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার টাওয়ার-পাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দীনের ছেলে পাভেল (২১) এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই খবর অর্পিতা হালদারের পরিবারের লোকজন জেনে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি।
হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ সুত্র জানায়, গত ১৮ মে বুধবার সকালে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে সামনে থেকে ভিকটিম অর্পিতাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে পালিয়ে যায় পাভেল ও তার সহযোগিরা।
এ ঘটনায় শুক্রবার ( ২০ মে) দুপুরে অর্পিতার পিতা মনোরঞ্জন হালদার থানায় এসে পাভেল সহ ৪ জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নির্দেশে (আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়) প্রযুক্তি ও সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে এস,আই জগদীশ চন্দ্র বসু এর নেতৃত্বে এ,এস,আই সোহেল সঙ্গীয় ফোর্স আলমডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তাদের আটক ও উদ্ধার করে
হরিনাকুণ্ডু থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অপহরণের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে ভিকটিম অর্পিতার পিতা মনোরঞ্জন হালদার থানায় এসে অপহরণ মামলা করেন। যার দায়েরকৃত মামলা নং ১২ তারিখ ২০/০৫/২০২২ইং ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় অপহরণ ও তার সহায়তার অপরাধ। ঐ দিনই মধ্যরাতেেই ভিকটিম অর্পিতা ও আসামী পাভেলকে আলমডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার ও উদ্ধার করে পরদিন সকালে তাদেরকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।