মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার গৃহহীন থাকবে না একটি পরিবার। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীতে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্দী গ্রামের রবুজা খাতুন পেলেন মুজিব বর্ষের দৃষ্টি নন্দন দুই কক্ষ বিশিষ্ট্য একটি ঘর।
সারাদেশের ন্যায় হরিণাকুণ্ডু থানাতে একটি অসহায় পরিবার, ভাগ্যহত মৃত্যু ইসলাম মণ্ডলের সহধর্মিণী রবুজা খাতুন,জমিসহ একটি ঘর উপহারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। জানা গেছে ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার একযোগে উদ্ভোদন করবেন দেশ রত্ন বঙ্গবন্ধু মানসকন্যা শেখ হাসিনা। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন ঝুপড়ি ঘরে। এখন থেকে আর কষ্ট করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আমি অনেক খুশী। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুহাত তুলে দোয়া করবো প্রতি ওয়াক্তের নামাজে, এমনটাই জানালেন দৈনিক দেশের কন্ঠকে । জানা যায় মৃত্যু ইসলাম মণ্ডলের এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। হরিণাকুণ্ডু থানার মানবিক পুলিশের পাঠানো ৫ জনের নামের তালিকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়। সেই তালিকা থেকে ভাগ্যবতী রবুজার নাম চুড়ান্ত তালিকা আসার পর থেকে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশের সার্বিক তত্তাবধানে এই দৃষ্টি নন্দন বাড়িটি নির্মাণের জন্য আমরা অত্যান্ত সুনিপুণ ভাবে পর্যাবেক্ষণ করেছি এমনটায় জানালেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি আরও জানান, জমি ক্রয় করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।
প্রতিবেশী সুখ বাহারের স্ত্রী জানান, রবুজা ছিলো একজন হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষ। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্যের বাড়িতে অসহায়ের মত দিনযাপন করতো। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এমন একটি সুন্দর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে নির্মান করায় আমি অনেক খুশী।
জমি বিক্রেতা মৃত্যু আত্তাব উদ্দীন বিশ্বাসের তিন ছেলে আব্দুল বারী, আবুধীন আদম, এবং মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, আমি দুই শতাংশ জমি বিক্রয় করেছি। আমি এমন এক মহৎ কাজে জমি বিক্রয় করতে পেরে অত্যান্ত খুশী।