ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ইউপি নির্বাচন পরবর্তীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টা পাল্টি এ হামলায় ২টি দোকান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর টি আর কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় দূর্যোগ সহনীয় একটি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মানদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে তুষার ভ্যারাইটিজের মালিক তুষার জানান, আমার ভাই আওয়ামীলীগ করে,আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছি বলেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই হামলা চালায়। তিনি আরও জানান,আমার দোকানে যখন হামলা চালায়, তখন নগত টাকাসহ আমার ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ১৭ হাজার ৫০০ শত টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভাংচুর করে প্রায় ৯০ হাজার টাকার মূল্যে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়।
অপর দিকে মটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,আমি কি অপরাধ করেছি। কি কারনে আমার দোকান ভাংচুর করলো তা আমি নিজেই জানিনা। এদিকে খুব দ্রুত মামলা করা হবেও বলে জানান ভ্যারাটিজের মালিক তুষার আহম্মেদ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ৭ নং উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন এবং সাবেক চেয়ারম্যান রাকিবুল ইসলাম রাসেল এর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মানদিয়া বাজারে বসিরের সমর্থক ও রাসের এর সমর্থকরা উভয়েই এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
গোলযোগের জের ধরে তারা দেশি অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বাড়িঘর ও দোকানে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় জাহিদের মটর-সাইকেল গ্যারেজ ও তুষার টি ষ্টোর এবং মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর টি আর কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় লুৎফর রহমানের ১ টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
আওয়ামীলীগের কচা দিয়ে খুব মজা হচ্ছে, এমনি গুনজন শুনা যাচ্ছে বলে জানান,রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সুশীল সমাজের বিশিষ্ট জন।
এদিকে ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেল জানান, ৫ জানুয়ারী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামাত- বিএনপি সমর্থীতদের দিয়ে এলাকায় অস্থিতি-শীলতা তৈরি করছে বর্তমান চেয়ারম্যান।পহেলা বৈশাখে হাটটি ডাক হবে সেই উদ্দ্যেশ করেই আমি মান্দিয়ার বাজারে যায়। বাজারে গেলে আমি যখন লোকজনের সাথে কথা বলি এমন সময় বসির চেয়ারম্যানের ভাগনে রাফি পা পাড়িয়ে আমাকে উত্তোক্ত করে এবং চেয়ারম্যানের দুলাভাই আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালি-গালাজ করে। এমন অস্থায় আমি সেখান থেকে বাড়ি আসার পর পরই শুনতে পারলাম রাজু আর রাফি সহ কিছু লোকজন টগর নামের একটি ছেলেকে তারা বেধড়ক মারধোর করেছে।
এরপর কালাপাড়িয়া ব্রীজের উপরে মান্দিয়া মিলন নামের একজনকে কুদালের পাশী দিয়ে গুরুতর জক্ষম করে। পরবর্তীতে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় উভট পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বসির চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।
রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান বসির জানান,পূর্ব শত্রু
-তার জের ধরেই ঐ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নানা ধরনের ভয়-ভিতি হুমকি-ধামকি এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘর ভাংচুরের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা আওয়ামীলীগ করে তারা এই ঘর পাইনি। প্রথমে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন খলিলের সাইকেল গ্যারেজ ভাংচুর করলে বিক্ষিপ্ত জনতা পাশে তুষারের দোকান ভাংচুর চালালে সে সময়ে টহল-রত পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এব্যাপারে চরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় আমাদের পুলিশ সেখানে টহল-রত অবস্থায় ছিলো কিন্তু কিছু দুঃস্কৃতকারীরা অতর্কিতভাবে এই হামলা এবং ভাংচুর করে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ছত্র-ভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেয়। কোনো মামলা হয়েছে এমন ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি যদি কেউ মামলা দেয় তাহলে আমরা সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।